বিরোধী দলবিহীন এ নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহ ছিল না বললেই চলে। উপজেলা নির্বাচনের ইতিহাসে এবার ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ২০১৫ সাল থেকে দলীয় প্রতীক দেওয়া শুরু হয়। সেই থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিভেদ প্রকট হতে থাকে। বিরোধী দলগুলো গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে নিজ দলের নেতাদের স্বতন্ত্র ভোট করার সুযোগ দেয় আওয়ামী লীগ। এর ফলে আরেক দফা দলীয় কোন্দল বেড়েছে।
বেসরকারি সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্য অনুসারে, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হন প্রায় ২ হাজার ২০০ জন। প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুসারে, এবার উপজেলা নির্বাচনের দিন থেকে পরবর্তী ১০ দিনে ভোটকেন্দ্রিক সংঘাতে সাতজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের সবাই সরকারি দলের নেতা–কর্মী–সমর্থক।
জাতীয় নির্বাচনের ঠিক চার মাস পর শুরু হয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মাসব্যাপী চলা নির্বাচন শেষ হয়েছে ৯ জুন। বিরোধী দলের বর্জনের কারণে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেয় আওয়ামী লীগ। ফলে প্রতিটি উপজেলায় দলের একাধিক নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন।