একসময় ভারতের সবখানে বিপুলসংখ্যক শকুন দেখা যেত। আবর্জনার স্তূপের ওপর ও মৃত প্রাণীর সন্ধানে ওড়াওড়ি করত এ বিশেষ শ্রেণির পাখিরা। বিমানবন্দরে ওঠানামা করার সময় কখনোবা উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে ঢুকে পাইলটদের জন্য বিপদের কারণ হয়েও উঠতে দেখা গেছে শকুনদের।
কিন্তু দুই দশকের বেশি আগে থেকে ভারতে শকুনেরা মারা যেতে থাকে। এর কারণ ছিল, অসুস্থ গরুর চিকিৎসায় একধরনের ওষুধের ব্যবহার।
১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি ভারতে শকুনের সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি। তখন থেকেই আবার গবাদিপশুর চিকিৎসায় সস্তা নন–স্টেরয়ডাল ব্যথানাশক ‘ডাইক্লোফেনাক’–এর ব্যবহার শুরু হয়। এতে বিপুলসংখ্যক শকুন কমতে কমতে এসে দাঁড়ায় একরকম শূন্যের কোঠায়। ওই ওষুধে চিকিৎসা করা পশুর মৃতদেহ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর শকুনগুলো মারা যেতে থাকে।