হারারে স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রতি পড়তে পড়তে ছিল উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক দল।
বুধবার ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই রানের জন্য অস্বস্তিতে ব্যাটিং করতে থাকে জিম্বাবুয়ে। স্লো ব্যাটিংয়ের পর জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১১ রানে। যদিও শুরুর চাপ সামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন ডিওন মায়ার্স ও ব্রায়ান বেনেট। ৬২ বলে ৭৫ রানের জুটিতে জয়ের পথটা তৈরি করেন তারা। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মায়ার্সকে ৩২ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী।
মায়ার্স ফেরার পর স্বাগতিকদের ওভারপ্রতি রানের দরকার হয় ১০ করে। এই সুযোগটাই কাজে লাগায় আফগানিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে চাপে ফেলে স্বাগতিদের। শেষ ৮ বলে স্বাগতিকদের প্রয়োজন পড়ে ১৭ রান। ওই রানটাও তখন অনেক বেশি মনে হচ্ছিল। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে নাভিনকে ৪ মারেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে মাসাকাদজা ৪ মেরে জিম্বাবুয়ের ওপর থেকে চাপ অনেকটা কমিয়ে দেন। শেষ ওভারে ১১ রান দরকার হলেও তারা শেষ বলে সমীকরণ নামিয়ে আনে ১ রানে। তখন সিঙ্গেল নিয়ে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন বেনেট। ৪৯ বলের ইনিংসে এই ওপেনার ৫টি চার মেরেছেন। ম্যাচসেরাও তিনি।
আফগানিস্তানের নাভিন ৪ ওভারে ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। রশিদ খান দুটি এবং মোহাম্মদ নবী নেন একটি উইকেট।
শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। জিম্বাবুয়ের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ১১ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৮ রান তুলতে পারে আফগানরা। ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাত ও নবীর ৪৯ বলে ৭৯ রানের জুটিতে ভর করেই ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান থেমেছে সফরকারী দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন জানাত।
জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভা সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন।