৭০ হাজার দর্শকে পরিপূর্ণ ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়াম তখন খানিকটা বেদনাহত। আরও একটি ব্যর্থ লড়াই দেখে ভাঙা মন নিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দর্শকেরা। সবাই ততক্ষণে ভেবেও নিয়েছেন, এ ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের নিম্নগামী ফুটবল আরেকটু নিম্নগামী হবে। অপেক্ষা ছিল শুধু শেষ বাঁশি বাজার। কিন্তু এমন মন খারাপের আয়োজন যেন পছন্দ হলো না ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের।
ব্রাজিলের প্রথম গোলে পেনাল্টি আদায়ের নেপথ্য নায়ক জ্বলে উঠলেন শেষ মুহূর্তে। বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুলেট গতিতে নিলেন শট। বল জালে জড়াতেই সব বদলে গেল ভোজবাজির মতো। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হতে যাওয়া ম্যাচটি শেষ হলো ব্রাজিলের ২-১ গোলের জয়ে।
এটুকু বর্ণনায় অবশ্য পুরো ম্যাচের চিত্র স্পষ্ট বোঝা যায় না। বাস্তবতা হচ্ছে, ম্যাচের প্রথম কয়েক মিনিট ও শেষ কয়েক মিনিট বাদ দিলে এই ব্রাজিল দল নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো রসদ আছে সামান্যই। হ্যাঁ, ব্যক্তিগত ঝলকের কিছু মুহূর্ত হয়তো কুড়িয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখার ভিত নেই।