৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এসময় ২টি দেশের সম্পর্ক ও বাণিজ্য জোরদারে বিভিন্ন ইস্যুতে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান ও ইরান। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তাই পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে বসেছে দেশটি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল (২৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, কোন দেশ যদি ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী হয়, তবে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই তাদের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ও দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। আমরা গত ২০ বছর ধরে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে আসছি। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সাফল্যের সঙ্গে তাদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত। আমরা এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই।
পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে বরাবরই সুসম্পর্ক বিদ্যমান। তাই অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সহায়তার জন্য বড় সম্ভাবনা হয়ে এসেছে ইরান। ঠিক এই অবস্থায় নিষেধাজ্ঞার হুমকি পেল দেশটি।