মানুষ মানুষের কষ্ট দেখে ব্যথিত হয়। আবার মানুষই অন্য মানুষের ওপর নির্মম বর্বরতা চালিয়ে আনন্দ পায়। ইসরাইল ফিলিস্তিনবাসীর ওপর যে নারকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে তা বিবেককে স্তব্ধ করে দিচ্ছে। আমার মনে হয়, আমার মতো অনেকেই প্রতি রাতে সামাজিকমাধ্যমে গাজাবাসীর নানাবিধ করুণ দৃশ্য দেখে নীরবে অশ্রু ফেলে ঘুমাতে যাই। একটি আড়াই তিন বছরের শিশু বোমার বিকট শব্দে উদভ্রান্তের মতো আল্লাহ আল্লাহ বলে চিৎকার দিতে দিতে যখন দৌড়াচ্ছে সে দৃশ্য দেখার মতো নয়। কংক্রিটের ধ্বংস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া শিশুদের ভয়ার্ত চেহারা আর আকুতি ভরা চোখ দেখে ঠিক থাকা যায় না। গাজার দুর্ভিক্ষের যে দৃশ্য অথবা হাসপাতালের বিপন্ন সেবা আমাদের হৃদয়কে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এসব বীভৎস পরিস্থিতি যেসব নারী-শিশু ও অসহায় মানুষ কিভাবে মোকাবেলা করছে তা ভাবলেও গা শিউরে ওঠে।

১৯৪৮ সালে পাশ্চাত্যের ঔপনিবেশিক শাসকদের শঠতা, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়ে ইসরাইল নামক দানব রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু থেকেই ফিলিস্তিনবাসী এর বিরোধিতা এবং প্রতিরোধ করে আসছিল। পার্শ্ববর্তী আরব রাষ্ট্রগুলোও এর বিরোধিতা করেছে এবং বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ ও সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ইসরাইল শুরু থেকেই আগ্রাসী নীতি নিয়ে শুধু প্রতিরোধই নয়; বরং ক্রমান্বয়ে ৭৫ বছরে তার ভৌগোলিক আয়তন সম্প্রসারিত করেছে। ফিলিস্তিনবাসী তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য প্রাণপণে লড়াই করে আসছে এবং এ পর্যন্ত লাখ লাখ জীবন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরাইলের ১২০০ লোক নিহত ও ২৪০ জন পণবন্দী হওয়ার পরে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ইসরাইল গাজায় যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে আসছে তা এক কথায় মানব সভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন। কয়েকবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও ইসরাইল বারবার তা লঙ্ঘন করছে। ফিলিস্তিনবাসী ও বিভিন্ন দেশের উদ্যোগে ইসরাইলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘে নানা প্রস্তাব উত্থাপিত হলেও মার্কিন ভেটোর কাছে তা বারবার পর্যুদস্ত হয়েছে।

গাজার মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে তা দেখে বিশ্বের বিবেকবান মানুষ বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে লাখ লাখ টন বোমা নিক্ষেপ করে যেভাবে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ হত্যা ও হাজার হাজার লোককে আহত ও পঙ্গু করা হয়েছে এবং একটি শহরের প্রায় সব পাকা ভবন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে তা দেখে সাড়া বিশ্বের মানুষ চোখের পানি ফেলেছে। অবশ্য বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশও কম হয়নি। এর পরও ইসরাইলের উগ্র ইহুদিদের হৃদয় একটুও নরম হয়নি। বরং গাজার ধ্বংসস্তূপের ওপর আরো বোমা নিক্ষেপের কাজ শুরু করেছে। তাদের যেন একটিই লক্ষ্য- নারী ও শিশুদের হত্যা করা যাতে নতুন প্রজন্ম প্রতিরোধের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নিয়ে বেড়ে উঠতে না পারে। এক কথায়, একটি জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করার প্রত্যয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের সহায়তায় ইসরাইল মানবতা ও সভ্যতাবিরোধী প্রতিহিংসার আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে।

সন্দেহ নেই যে, যুদ্ধ মানেই রাষ্ট্র-রাষ্ট্র খেলা; সেখানে সাধারণ মানুষের ভূমিকা গৌণ। ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ পাখির মতো বোমা আর গুলি খেয়ে মরছে, চিকিৎসা নেই, খাবার নেই, আশ্রয় নেই এককথায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম উপকরণও তাদের কাছে নেই। কারবালায় যেমন ইয়াজিদ বাহিনী একফোঁটা পানিও দেয়নি, তেমনি গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহেও ইসরাইল বাধা দিচ্ছে। আমরা যারা দূর-দূরান্তে মানবিক অনুভূতি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে গাজাবাসীর নির্মম কষ্টক্লেশ দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু কিছু করতে পারছি না, শুধু চোখের পানি ফেলতে পারি আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে পারি। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বের তাবত রাষ্ট্রনায়করা কী কিছু করতে পারছেন না, নাকি করতে পারলেও করছেন না? ফিলিস্তিনে আর কত রক্ত ঝরবে, আর কত জীবন যাবে? নাকি ওই জনপদ জনমানবশূন্য হয়ে ইসরাইলের ভাগাড়ে পরিণত হবে?

মুসলিম উম্মাহর কাছে একটিই প্রশ্ন যে, শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলো কী করছে? তাদের কী কিছু করণীয় নেই?

আরব রাষ্ট্রগুলো মুসলিম এবং ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী। তাদের দায়িত্ব সবার আগে। বিশেষ করে সৌদি আরবের প্রতি মুসলিম উম্মাহর প্রত্যাশা অনেক বেশি। দেশটির সম্পদ আছে এবং সামরিক শক্তিও কম নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদি রাজতন্ত্রের দীর্ঘ সখ্যের কারণে হয়তো কূটনৈতিক প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জন্য মানবিক সাহায্য প্রদান ছাড়া শক্ত কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। মিসর আরেকটি দেশ যেখানে পাশ্চাত্যের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল, ফলে ওই সামরিক শাসকের এক দিকে বৈধতা নেই, অপর দিকে তারা আপসকামী নীতি নিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ দেখছে। আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো, সুদান তো ইসরাইলের সাথে সখ্য গড়ে তোলার নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে। জর্দান ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশী। দেশটির রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রিটিশদের পৃষ্ঠপোষকতায়। তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি সবারই জানা। তবে দেশটিতে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্ত হিসেবে বসবাস করছে। ইরাক ও সিরিয়াকে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে আগেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। একই অবস্থা লিবিয়ারও। লেবাননে হিজবুল্লাহ দীর্ঘকাল ধরে ফিলিস্তিনিদের পাশে থেকে লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু তার নেতা হাসান নসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইসরাইলের মারাত্মক সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে তার সাধ্য সীমিত। ইয়েমেনের হুতি বাহিনী ও ইরান একটু দূর প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও মাঝে-মধ্যে গর্জে ওঠে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যা দেখে আমরা একটু স্বস্তি বোধ করি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চোখ রাঙানি তাদের সর্বদা তটস্থ রাখে। আরেক প্রতিবেশী তুরস্ক। এর নেতা এরদোগান মাঝে মধ্যে হুঙ্কার ছাড়েন ঠিকই; তবে ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় দেশটি চাইলেই সব কিছু করতে পারছে না বলে মনে হচ্ছে। তিনি কয়েক দিন আগে বলেছেন যে, ফিলিস্তিনের প্রতিটি ফোঁটা রক্তের বদলা নেয়া হবে। তবে ন্যাটো ত্যাগ করলে হয়তো তাকেও করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। গাজায় মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে কাতার এবং তুরস্ক বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

নানাবিধ দিক থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও দিন শেষে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। গাজাবাসীর দুঃখের দিন-রাত যেন শেষ হচ্ছে না। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসঙ্ঘ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ইসরাইল তার কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। এমনকি নিরাপত্তা পরিষদে বারবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বা শান্তি প্রস্তাব উত্থাপিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রয়োগে তা বারবার মুখথুবড়ে পড়ছে। মানবিক সভ্যতা যেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়ার্তুমির কাছে বারবার মার খাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ বেশ কয়েকবার ইসরাইলকে নিন্দা করে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদেও একইভাবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে; কিন্তু মার্কিন ভেটোর কারণে তা ভেস্তে গেছে। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশন ইসরাইলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণসহ রিপোর্ট পেশ করেছে; কিন্তু দেশটি একইভাবে তাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তার মানে হচ্ছে জাতিসঙ্ঘের কোনো উদ্যোগই কার্যকর হচ্ছে না। এর একমাত্র কারণ যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সর্বপ্রকার সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের প্যালেস্টাইনি উদ্বাস্তবিষয়ক কমিশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাদের সাধ্যমতো খাদ্য সাহায্য ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে; কিন্তু তাদেরও ইসরাইল বাধা দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে ত্রাণকর্মীদের অনেকেই জীবন দিয়েছে। ইসরাইল সংবাদমাধ্যমকর্মীদেরও রেহাই দিচ্ছে না। অনেক সাংবাদিকও ইসরাইলের হাতে নিহত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের একটি তদন্ত কমিশন গাজা তথা ফিলিস্তিনে উপর্যুপরি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের জন্য তদন্ত করেছে এবং অনেক সাক্ষ্য প্রমাণও সংগ্রহ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু ওই আদালতেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জাতিসঙ্ঘ বারবার বিভিন্ন ফোরামে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে; কিন্তু তা বাস্তবায়নে তার কোনো শক্তি নেই। ফলে আজ অবধি ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে জাতিসঙ্ঘ কার্যকর কিছু করতে পারেনি। নিরাপত্তা পরিষদে যত দিন ভেটো ক্ষমতার নিয়ম চালু থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাবে তত দিনে জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে কিছু হবে বলে আশা করা যায় না। তাহলে আর কোনো অপশন বাদ থাকে। সেটা হচ্ছে মুসলিম দেশগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে তাহলে কার্যকর কিছু ফল আশা করা যেতে পারে। সমগ্র মুসলিম উম্মাহ ফিলিস্তিনের জন্য ঐক্যবদ্ধ; কিন্তু ঐক্যের পথে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বিভিন্ন মুসলিম দেশের শাসকবর্গ। তাদের কারো কারো শাসনের বৈধতা নেই, জনগণ তাদের নির্বাচিত করেনি। রাজতন্ত্র, আমিরাততন্ত্র, সামরিকতন্ত্র ইত্যাদি নানা ধরনের শাসনব্যবস্থা জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। ওই সব শাসকরা যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের সাহস রাখে না। এমনকি বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র আমেরিকাকে খুশি করার জন্য ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। আবার কেউ কেউ নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। কথিত আছে ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস যে ইসরাইলের ভেতরে গিয়ে অকস্মাৎ হামলা চালিয়েছিল তার প্রধান কারণ ছিল কোনো কোনো আরব রাষ্ট্র নাকি ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিল। সেটা ঘটলে ফিলিস্তিনের সমস্যা আরো জটিল হয়ার আশঙ্কা ছিল।

কেউ হয়তো বলতে পারেন যে, হামাস যদি ওই হামলা এবং বহু লোক জিম্মি না করত তাহলে এত ধ্বংসলীলা সঙ্ঘটিত হতো না। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি দেয়া যেতে পারে। তবে লক্ষণীয় হচ্ছে যে, যেসব মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখছে তারা কী ফিলিস্তিনবাসীর জন্য কোনো ইতিবাচক কিছু করতে পেরেছেন। এক কথায় না। সুতরাং ইসরাইলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডকে শক্তি দিয়েই প্রতিরোধ করতে হবে। কিছু দিন আগে একটি বহুজাতিক ইসলামী প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের কিছু কথা শোনা গিয়েছিল; কিন্তু তা কাজের কাজ কিছু হয়েছে বলে জানা যায় না। মিসর, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইরান ও তুরস্কের শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে। এদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে একটি সম্মিলিত বাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু মুসলিম দেশগুলোর শাসকবর্গ ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে কার্যকর কিছু হবে বলে মনে হয় না।

ফিলিস্তিনবাসীর মধ্যে দারুণ রকম ঈমানী চেতনা রয়েছে। তারা চরম প্রতিকূল পরিবেশেও মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও ধৈর্য ধারণ করতে পারছে। হামাস ও ইসলামিক জিহাদ সত্যিকার অর্থেই জিহাদ করে যাচ্ছে। ইসরাইল সর্বশক্তি দিয়ে এত নারকীয় কাণ্ড ঘটানো সত্ত্বেও হামাস যোদ্ধাদের শক্তি নিঃশেষ করতে পারেনি। সামনে কী হবে, সমস্যা কত দীর্ঘায়িত আমরা তা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, মহানবী সা:-এর হাদিসই সত্যি হতে চলেছে যে, একদল ঈমানদার মুসলিম বায়তুল মোকাদ্দাসের আশপাশে মরণপণ লড়াই করবে, শেষ পর্যন্ত তারাই বিজয়ী হবে। সেদিন কবে আসবে?

লেখক : গবেষক ও সাবেক সচিব

[email protected]



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews