নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই অসন্তোষ জানান তারা। সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক ভাষণে সংসদ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না থাকায় সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। দলের পক্ষে জনমত সুদৃঢ় করতে নানা কর্মসূচি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ রোডম্যাপ দেবেন, তা স্পষ্ট করেননি। বিএনপির নীতিনির্ধারণী কয়েকজন নেতা বলেন, সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমে বিএনপির কোনো বিরোধিতা নেই। তবে সরকারের প্রধান লক্ষ্য যেহেতু নির্বাচন, তাই অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সংস্কারে সরকারের অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার।
বৈঠক সূত্র জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগের মধ্যেই বিএনপির ভাবনা জনগণের কাছে তুলে ধরতে চান দলটির নেতারা। এ জন্য ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বিভাগে এ ব্যাপারে কর্মশালা করবে বিএনপি। এ ছাড়া বৈঠকে নির্বাচন কমিশন গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপি কয়েকটি বিষয়ে তাদের সংস্কার প্রস্তাব সরকারের কাছে পেশ করবে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যেসব বিষয় জনসমক্ষে আনছে, তা বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েক বছর আগেই বলা হয়েছে। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের ম্যান্ডেট নেই। তার পরও একটি গণঅভ্যুত্থানের পর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে ন্যূনতম সংস্কার হতে পারে।