যাহোক, ইমরানের জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও কী কারণে পিটিআই এখনো একটি সফল প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে, কেন খান সাহেবকে ‘ফাইনাল কল’ দিতে হয়েছে, তা ভেবে দেখার মতো একটি ব্যাপার। আর তা তাঁর নিজের দলেরও ভেবে দেখা প্রয়োজন। এই কল তো তাঁর দলের জন্য চ্যালেঞ্জ; আর ইমরান খানের নিজের জন্যও বড় ঝুঁকি।
পিটিআইকে এই আন্দোলনে ‘একা’ মনে হচ্ছে কেন? ইমরান খান নিজেও ‘বিচ্ছিন্নতার শিকার’। আর তা তাঁর কৌশলের কারণে। একদিকে তিনি নিজেই একটি ছয়-দলীয় জোট গঠন করেছেন। কিন্তু ‘ফাইনাল কল’ দেওয়ার আগে কোনো দলকে বিশ্বাস করেননি, আলাপ করেননি। তাঁর সেসব জোটের নেতারা কোথায়? এসব নিয়ে পিটিআই নীরব কেন? খানের বিচ্ছিন্নতার আরেকটি কারণ আছে।
এই কঠিন সময়ে তাঁর অনেক বিশ্বস্ত সহকর্মী তাঁকে ছেড়ে গেছেন। সম্ভবত এ কারণে যে তিনি নিজে যাঁদের মনোনীত করে উঁচু পদে বসিয়েছেন, তাঁদেরও তিনি আর বিশ্বাস করেন না। আজ তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি এবং বোন কার্যত রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। বোন আলেমা খান দলের কোনো পদে না থাকা সত্ত্বেও ‘ফাইনাল কল’ ঘোষণা করেছেন।