প্রথম মাসিকের অভিজ্ঞতার সঙ্গে আরেকটা অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা করছে, সেটা হচ্ছে অনিয়মিত মাসিক। অনেক নারীর মধ্যে ইদানীং এই স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যায়। এই অবস্থাকে বলা হয় পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। ওভারিতে সিস্ট হওয়ার কারণে প্রতি মাসে ঠিক সময়ে মাসিক হয় না। কয়েক বছর আগে আমি নিজেও এই স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েছিলাম। কয়েক মাস পরপর মাসিক হতো। ওজন বেড়ে যাচ্ছিল। শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি অনেক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিল। সিদ্ধান্ত নিলাম ওষুধ খাব না, জীবনযাত্রাকে স্বাস্থ্যকর করে তুলব। বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিলাম, বাসায় কম তেলে রান্না করা খাবারে অভ্যস্ত হলাম, মাছ-মাংসসহ অনেক প্রাণীজ খাবার খাওয়া বাদ দিলাম, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করলাম, নিয়মিত শরীরচর্চা করা শুরু করলাম, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার চেষ্টা করলাম। ধীরে ধীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে এল এবং মাসিক আবার নিয়মিত হওয়া শুরু হলো। জীবনযাত্রাকে স্বাস্থ্যকর না করে যদি ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যেতাম, তাহলে অনেক শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিত। তাই মাসিক শুরু হলেই যে এটি নিয়মিত হবে, এমন কোনো কথা নেই। জীবনের কোনো একপর্যায়ে গিয়ে আবার অনিয়মিত হতেও পারে। জীবনযাত্রাকে পরিবর্তন করে আবার মাসিককে নিয়মিত করা যায়।