ঢাকার এক দুর্দান্ত চলচ্চিত্রের নাম ‘মাসুদ রানা’। পর্দার অভিযানে সেই মাসুদ রানার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে ২৪ মে।

সোহেল রানা অভিনীত ও পরিচালিত ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়। অভিনেতা, নির্মাতা সোহেল রানা এই ছবি দিয়ে আত্মপ্রকাশ করলেও তার সিনেমায় সম্পৃক্ততা ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার মাধ্যমে।  

১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের এই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন তিনি।

নায়ক ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ এবং দেশব্যাপী ‘মাসুদ রানা’র বাজিমাত দিনে দিনে পর্দার এই বৈচিত্র্যময় মানুষটি সকলের কাছে হয়ে উঠেন অসাধারণ। সেই অসাধারণ সোহেল রানা-এর ৭৮তম জন্মদিন ছিল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি)।

এ উপলক্ষে সোহেল রানাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘একজনই সোহেল রানা’ নামের অনুষ্ঠান। আবদুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচার হবে। যেখানে সোহেল রানার সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এসেছে অকপটে একান্ত কিছু কথা যা, এতদিন সবারই ছিল অজানা।

ক্যারিয়ারে প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল রানা। তার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্মসের ব্যানারেও ৩০টির অধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলো হলো- ওরা ১১ জন, মাসুদ রানা, গুনাহগার, জবাব, যাদুনগর, জীবন নৌকা, যুবরাজ, নাগ পূর্ণিমা, বিদ্রোহী, রক্তের বন্দী, লড়াকু, মাকড়শা, বজ্রমুষ্টি, ঘেরাও, চোখের পানি, ঘরের শত্রু, গৃহযুদ্ধ, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, শত্রু সাবধান, খাইছি তোরে, ভালোবাসার মূল্য কত, অন্ধকারে চিতা, ভয়ংকর রাজা, ডালভাত, চারিদিকে অন্ধকার, রিটার্ন টিকিট ও মায়ের জন্য পাগল। গুণী এই নায়কের ছেলেও এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই নির্মাণ করেন ‘অদৃশ্য শত্রু’ নামের চলচ্চিত্র।

লালু ভুলু (১৯৮৩), অজান্তে (১৯৯৬), সাহসী মানুষ চাই (২০০৩) তিনটি চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন সোহেল রানা। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা লাভ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
এনএটি



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews