ভিড়ের মধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়া সালমা আক্তার বললেন, “পুরা একটা বেলা চইলা গেল। বাসায় পোলাপান আছে-রোজা রাইখ্যা আবার বিকালে ইফতারি ও রাতের খাওন রানতে হইব। সরকার আমাগো দিকে তাকাইয়া অল্প টাকায় মাল দিতাছে। ডিলারের কারণে সেই মাল পাইতে জান বাইরাই যাইতাছে।”
টিসিবির পণ্য পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা আর ভোগান্তির কথা এভাবেই বলছিলেন সীমিত আয়ের এসব মানুষ। রোজা রেখে দিনমান দাঁড়িয়ে শরীর যে কুলায় না, তবুও অপেক্ষায় ছিলেন শেষ পর্যন্ত। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অবশ্য সেখানে কাউকে খালি হাতে ফিরতে দেখা যায়নি।
পণ্য সরবরাহ যথেষ্ট থাকার কথা জানিয়ে কার্ড লিপিবদ্ধকারী মো. আল-মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কার্ড জমা দিয়ে পরেও মাল (পণ্য) নিতে পারবে।’’
পণ্য পেতে এত দীর্ঘ অপেক্ষার কারণ জানতে চাইলে ডিলারের এ প্রতিনিধি বললেন, ‘‘কয়েকজন অনুরোধ করায় তাদের পণ্য আগে দিতে হয়েছে।’’
লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের পরিচয় ব্যবহার করে অনেকেই পরে এসে কার্ড জমা দেওয়া মাত্রই পণ্য পেয়েছেন। আর অপেক্ষা করতে হয়েছে আগেভাগে আসা ব্যক্তিদের।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আল-মামুন কোনো জবাব দিলেন না। তবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে পণ্য দেওয়া গেছে বলে জানালেন তিনি।