টেন্ডার জটিলতার কারণে বুড়িগঙ্গায় পারাপারে নিয়োজিত ‘ওয়াটার বাস’ সার্ভিস বন্ধ রয়েছে।
আগানগর টু ওয়াইজঘাট ও তৈলঘাট টু শ্যামবাজার ঘাটে দুটি করে চারটি ওয়াটার বাস চলাচল করত; কিন্তু এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এ সার্ভিস। ফলে এই রুট ব্যবহারকারী শিক্ষার্থী, নারী, শিশুসহ হাজারও যাত্রীর নদী পারাপারে ঝুঁকি বেড়েছে। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে বিকল্প হিসেবে খেয়া নৌকায় নদী পার হচ্ছেন।
তবে শিগগিরই এ সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির প্যাসেঞ্জার সার্ভিস ইউনিটের ডিজিএম তানভীর আহমেদ।
জানা গেছে, বুড়িগঙ্গায় যাত্রী পারাপার নৌ-দুর্ঘটনারোধে ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করে বিআইডব্লিউটিসি।
বুধবার সকালে আগানগর ওয়াটার বাস ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যাত্রী নদী পারাপারের অপেক্ষায় জেটিতে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে কথা হয় মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর বাংলা বাজারে বই খাতা কিনতে যাওয়া গৃহিনী রাসিকা খানম শান্তার সঙ্গে।
তিনি জানান, ছেলে-মেয়েদের স্কুলের খাতা কলম বেশি করে পাইকারি দামে বাংলাবাজার থেকে কিনে আনি। আজকে মেয়েকে নিয়ে সেই উদ্দেশ্যেই বের হয়েছিলাম, কিন্তু ঘাটে এসে দেখি ওয়াটার বাস বন্ধ। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় নদী পাড় হতে ভয় পাচ্ছি, তাই বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আবিদুর রহমান জানান, প্রায় মাসখানেক যাবৎ সার্ভিসটি বন্ধ রয়েছে। শুনেছি নতুন করে টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে তাই বন্ধ। আমার প্রশ্ন টেন্ডার দিতে হলে কি সার্ভিস বন্ধ করে দিতে হয়। সার্ভিস চালু থাকবে, নতুন কেউ ইজারা পেলে তারা পুরোনোদের কাছ থেকে জাহাজ বুঝে নিবে। তাহলেই তো হয়ে যায়। জনগণের ভোগান্তি হয় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ওয়াটার বাস সার্ভিসের ইজারা নিয়েছিলেন মাঝি শ্রমিক লীগের নেতা মিন্টু। সরকার পরিবর্তন পর তিনি গা ঢাকা দেন। এর কিছুদিন পর তিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ওয়াটার বাস সার্ভিস বন্ধ করে জাহাজগুলো বিআইডব্লিউটিসির কাছে হস্তান্তর করেন। যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ রয়েছে।