করোনার ধকল সামাল দিয়ে নতুন করে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। গত একমাসে দেশটিতে অন্তত একশ’টি নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। চালু হওয়া নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুপার মার্কেট, রেস্তোরাঁ, গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান, গ্রোসারি, পারফিউম, স্পেয়ার পার্টস, ফাস্টফুড ও ট্রাভেলস এজেন্সির সংখ্যা বেশি।
গত সোমবার রাস আল খাইমাহ শহরে উদ্বোধন হয় বাংলাদেশিদের সর্ববৃহৎ চেইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ আক্তার গ্রুপের একটি হাইফার মার্কেট। গত একবছরে মোহাম্মদ আক্তার গ্রুপ মোট ছয়টি নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করে। দেশটিতে একই গ্রুপের ২৩টি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৫ শতাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। এ ছাড়া এক মাসের ব্যবধানে উদ্বোধন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- আজমান শহরে বৃহৎ গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান দারিন গ্লোবাল ফ্যাশনের নতুন শো-রুম, শারজায় চট্টগ্রামের স্বনামধন্য বারকোড রেস্টুরেন্ট, দুবাইয়ে পারফিউম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওড আল আমির, শারজা আল নাহদায় নুর আল মারিফা সুপার মার্কেট।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার পরিস্থিতি সমাল দিয়ে আবার ব্যবসায় মনোযোগ বাড়ছে প্রবাসীদের।ভিজিট ভিসাধারীদের কর্মসংস্থান ভিসা নেওয়ার সুযোগ থাকায় নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা মত স্বদেশি শ্রমিক পাচ্ছে। নতুনভাবে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশটিতে স্বদেশীদের বাণিজ্যিক গতিও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে।
দুবাইয়ের ফিউচার হোম রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান ইয়াকুব সৈনিক বলেন, রিয়েল এস্টেটের পাশাপাশি আমিরাতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও আছে আমার। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে রেস্টুরেন্টের কযেকটি নতুন শাখা চালু করি। ভিজিট ভিসা খোলা থাকায় নতুন প্রতিষ্ঠানে স্বদেশি শ্রমিকের চাহিদাও পূরণ করতে পেরেছি। শুধু আমি নই বরং আমিরাতে প্রায় সব নতুন প্রতিষ্ঠানে একই প্রক্রিয়ায় স্বদেশি শ্রমিকের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
মোহাম্মদ আক্তার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আক্তার হোসাইন সিআইপি সমকালকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে এশিয়ান ও অ্যারাবিয়ানদের উপর পৃথকভাবে ব্যবসার নির্ভরশীলতা বজায় থাকে। যতদিন পর্যন্ত সব দেশের ভিসা না খুলছে, যাতায়াত স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত করোনার এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কষ্টকর।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেহেতু চেইন কোম্পানি বা ব্যবসা করছি, একদিকে ক্ষতি হলেও অন্যদিকে লাভ আসছে। কিন্তু করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ছোটখাটো ব্যবসায়িরা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে কেবলমাত্র ভিজিট ভিসাধারীদের ভিসা নবায়নের স্বার্থে যেসব প্রতিষ্ঠান চালু হচ্ছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ খুব ভালো নাও হতে পারে।