আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, সংসদ সদস্যরা উপজেলা চেয়ারম্যানদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন। এ জন্য নিজ অনুসারীর বাইরে যাতে কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান না হন, সে জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
দলের সিদ্ধান্ত না মানার পেছনে অতীতে শাস্তি দিয়েও পরে ক্ষমা করে দেওয়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাঁদের মতে, স্বজনদের ঢালাওভাবে ভোটের মাঝপথে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টিও কিছুটা অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া স্বজনের সংজ্ঞার সীমারেখা কী, এটাও স্পষ্ট নয়। অর্থাৎ স্বজন বলতে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান ও ভাই পর্যন্ত মানা হবে, না কি আরও বিস্তৃত হবে-এটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন।
চার পর্বের উপজেলা ভোটের প্রথম পর্বে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মাত্র তিনজন স্বজন সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে একজন ছাড়া বাকিদের ওপর দলীয় সিদ্ধান্তের সেভাবে প্রভাব পড়েনি। নাটোরের সিংড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস তাঁর ছেলে আশিক আলীর ‘ডামি’ প্রার্থী ছিলেন। তিনিও প্রত্যাহার করেন। আর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সংসদ সদস্য আলী আজগরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সহিদুল ইসলাম প্রত্যাহার করেছেন। যদিও সংসদ সদস্যের আপন ভাই আলী মনসুর এখনো প্রার্থী আছেন।