সংবাদ সম্মেলনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার: অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিবেচ্য বিষয়’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, দুর্নীতির চেয়েও বেশি ক্ষতি করেছে বিভিন্ন নীতি। দেড় থেকে দুই গুণ বেশি চাহিদা হিসাব করে প্রক্ষেপণ তৈরি করা হয়েছে। এমন নীতি তৈরিই করা হয়েছে একটা গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে। নীতি ও আইন খাতে ১৭টি সংস্কার দরকার।
সিপিডির নিবন্ধ বলছে, প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতার অভাব ছিল। গত সরকারের সময় বিদ্যুৎ খাতে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে সারা দেশে বিদ্যুৎ পৌঁছানো অন্যতম। তবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে খরচের বোঝা কমত। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিপুল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার দরকার।
সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনটি ধাপে ছয় মাস, এক বছর ও তিন বছরের রূপরেখা তৈরি করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে শুরুতেই ১০০ দিনের একটি কর্মপরিকল্পনা হাজির করতে পারেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উপদেষ্টা। দ্রুত সংস্কারের বিষয়গুলো এ সময়ের মধ্যে রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া স্বাধীন কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ খাতে ভুতুড়ে বিল তদন্ত করতে হবে প্রথম ছয় মাসেই।