দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী রোবেনা রেজা জুঁই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিনেত্রী হিসেবেই দর্শকের কাছে সমাদৃত। শখের বশে অভিনয় শুরু করলেও এখন তিনি একজন পেশাদার অভিনেত্রী। নির্মাতাদের আগ্রহে একের পর এক নাটক, ওটিটি ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। গানের সঙ্গেও রয়েছে সখ্য।  তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে- পান্থ আফজাল

অভিনয় আর বাস্তব জীবনটাকে সমন্বয় কীভাবে করেন?

আসলে বাস্তব জীবনে অতটা সচেতনভাবে মেইনটেইন করার অপশন নেই। এই জীবনে নিজ নিজ চরিত্রে মেকি ব্যাপারটা ক্রিয়েট করার উপায় বা সুযোগটা নেই। যে যেরকম সে সেরকমই। সেটাকেই মেনে নিয়ে দীর্ঘদিন একসঙ্গে পথ চলতে চলতে একসময় কিন্তু সমন্বয় হয়ে যায়। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। আমি বুঝে যাই সে কী পছন্দ করে, কী অপছন্দ করে বা কী বিষয়গুলোকে সে নিতে পারবে বা পারবে না। সেও বোঝে আমার ধরনটা কী। আর অভিনয় নিয়ে বলতে গেলে, তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে গেলে অনেক কিছু শেখার থাকে। আমি কেন, বেশির ভাগ কো-আর্টিস্টই একই কথা বলবে। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে গেলে প্রতিবারই কিছু না কিছু ইমপ্রুভমেন্ট হয় সহশিল্পীদের। অভিনয় বা চরিত্রায়ণের বিষয়গুলো শেখা যায়। তাই তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে গেলে আমার নিজের থেকে সমন্বয়ের বিষয় থাকে না। সে কো-আর্টিস্টকে এত বেশি চরিত্রায়ণ বা সিকোয়েন্সের ভিতর ইনভলব করে ফেলে যে, অটোমেটিকভাবে সমন্বয় হয়ে যায়।



উইন্ডমিল এন্টারটেইনমেন্টের কাজ কেমন এগোচ্ছে?

আমাদের এই ইউটিউব চ্যানেলটা আমরা যখন করি তখন টার্গেটটা ছিল যে বিনোদনের পাশাপাশি আমাদের গল্পগুলো, চরিত্রগুলোকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করব। তো আমরা সেভাবে চেষ্টা করছি। যখন গল্প চয়েজ করি, তখন পড়ি আমরা সবাই মিলে। এমনও হয় যে আমরা কাজের আগে ৩-৪টা গল্প নিয়ে পড়ি। সেই ৪টা গল্প থেকে আমরা ১টা বা ২টা সিলেক্ট করি। তো এভাবে করে আমরা চেষ্টা করছি ভালো কিছু গল্প দর্শককে দেওয়ার জন্য, যেন তারা বিনোদিত হয়। জানি না ভবিষ্যতে আমরা কতখানি করতে পারব। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

নিজের অবস্থানের পেছনে অনেক ত্যাগ রয়েছে আপনার। কিন্তু এখন তো অনেকেই রাতারাতি তারকা বনে যাচ্ছে...

এক একটা সময় আসলে নির্ধারণ করে দেয় বিষয়গুলো কী হবে। আমরা যখন প্রথম কাজ শুরু করি, তখন কিন্তু ইউটিউবে প্রচলনটা খুবই কম ছিল। তারপর আমরা কাজ শুরু করার ৩-৪ বছর পর থেকে এলো সিডি-ডিভিডি। তো তখনো আসলে আলাদাভাবে সিডি কিনে দর্শক দেখবে, সেই ইচ্ছা বা সামর্থ্য সে সময় অনেকেরই হয়ে ওঠেনি। দেখা যেত যে যখন টেলিভিশনে অনইয়ার হতো তখন দেখলে দেখত বা সেটা মিস করে গেলে অনেকের দেখার সুযোগ হতো না। খুব ভালো কোনো কাজ হলে সেটা লোকমুখে শুনে এরপর কারও কাছ থেকে সিডি বা ডিভিডি নিয়ে দেখত অথবা কিনে দেখত। এখন এত বেশি এভেলেবল, আমি ইউটিউব খুললেই পেয়ে যাচ্ছি। এ কারণে অবশ্য দর্শকের দেখাও বেড়েছে। তো বাড়ার কারণেই যারা এখন কাজ করছে, তারা দ্রুত পরিচিতি পাচ্ছে। যেটা আমাদের সময় পরিচিতি পেতে সময় লেগেছে। এখন যারা কাজ করছে তারা এই মিডিয়াটাকে টাচ করতে পারছে। আমি মনে করি, টেকা-না টেকা নির্ভর করে যোগ্যতার ওপর। যদি কেউ যোগ্যতাসম্পন্ন হয় বা কেউ যদি মন লাগিয়ে কাজ করে, তাহলে সফল হবেই। যে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে অথবা জনপ্রিয় হচ্ছে বলেই যে সে টিকবে না সেটা কিন্তু নয়। সে যদি তার কোয়ালিটি ও মেধাকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারে তবে অবশ্যই টিকবে।

সিনেমা এবং ওটিটির খবর কী?

‘গাঙকুমারী’ সিনেমায় আমার অংশের কাজ শেষ। আর ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ অবমুক্ত হয়েছে দেশীয় একটি ওটিটিতে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews