লাল-সবুজদের স্প্যানিশ প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার পদত্যাগ দাবি করে কিছুদিন আগে জাতীয় দল কমিটির পদ হারিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। গত ১৪ জুন রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে বাফুফে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের উপস্থিতিতেই শাহীন বলেছিলেন, ‘আমার একদফা হলো ক্যাবরেরার পদত্যাগ। দেশের সব মানুষেরও সেই দাবি।’ এরপর ৪ জুলাই শাহীনকে জাতীয় দল কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার রেশ শেষ হতে না হতে এক মাসের ব্যবধানে কোচ ক্যাবরেরাকে নিয়ে বোমা ফাটালেন বাফুফের আরেক সদস্য ছাইদ হাছান কানন। তিনি জাতীয় দল কমিটিরও সদস্য। ছাইদ হাছান কানন ৪ আগস্ট দাবি করেন, গত ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের মূল কারণ ক্যাবরেরার বাজে ট্যাকটিস। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অনুশীলনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্যাবরেরা ও তার কোচিং স্টাফদের কাঠগড়ায় দাঁড় করান জাতীয় দলের সাবেক তারকা গোলরক্ষক কানন।
সিঙ্গাপুর ম্যাচে একসঙ্গে চার পরিবর্তনকে কোচের বাজে ট্যাকটিস হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। কানন বলেন, ‘একসঙ্গে চারজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করাটা আমার কাছে খুব বাজে লেগেছে। একজন সাবেক খেলোয়াড়, কোচ এবং জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে এই বিষয়গুলো আমাকে হতাশ করেছে।’ রাকিবকে আক্রমণভাগে খেলানো প্রসঙ্গে কানন বলেন, ‘আল-আমিন মাঠে নামার পর রাকিব কেন রাইটব্যাকে খেললেন? জামাল ভূঁইয়াকে কেন মাঠে নামানো হয়নি? ভুটান ম্যাচে জামালের সেটপিস থেকেই হামজা গোল করেছিলেন। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আমরা ১১টি সেটপিস পেয়েছিলাম-জামাল মাঠে থাকলে অন্তত একটি গোলের সুযোগও তো পেতাম। রাকিবকে রাইটব্যাকে খেলাতে দেখে অবাক হয়েছি। সে যে রাইটব্যাক পজিশনে খেলেছে, সেটা নাকি কোচ জানতেন না! তাহলে কোচিং স্টাফের কাজ কী ছিল? এটা আসলেই প্রশ্নবিদ্ধ।’
ক্যাবরেরাকে নিয়ে এতই যখন সমস্যা তাহলে তাকে রাখছেন কেন? এই কোচকে কেন বিদায় করছেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে ছাইদ হাছান কানন বলেন, ‘কমিটির সদস্য হিসেবে আমরা পরামর্শ দিতে পারি। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়ালের।’