রেস্তোরাঁটিতে খেয়েছেন, এমন দুজন জানালেন, কিছুটা ঝাল ঝাল মাংস এখানে রান্না হয়। গ্রামের বাড়িতে মাটির চুলায় যে ধরনের রান্না হয়, সেভাবেই এখানে রান্না হয়। গ্রামীণ পরিবেশে গ্রামীণ রান্নার স্বাদ নিতেই মূলত ভোজনরসিকেরা এখানে ছুটে আসেন। জাফলং, তামাবিল ও শ্রীপুরগামী পর্যটক এবং ট্রাকচালক থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর সিলেট থেকেও মানুষ এই গ্রামীণ রান্নার স্বাদ নিতে এখানে প্রতিদিন ভিড় জমান।

সুরুচি ভাতের হোটেলে দুই প্লেট ভাতের সঙ্গে হাঁস কিংবা দেশি মুরগির মাংসের একেক বাটির দাম ২০০ টাকা। এর সঙ্গে ডাল, শসা কিংবা ক্ষীরার সালাদ আর স্থানীয় পাহাড়ি লেবু ফ্রি। কেউ চাইলে ১০ টাকা দিয়ে আলু ভর্তা এবং ২০ টাকা দিয়ে মাছভর্তাও পাতে নিতে পারেন। একসঙ্গে রেস্তোরাঁটিতে ৪০ জন বসে খেতে পারেন। বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার দিনরাত এখানে ভোজনরসিকদের ভিড় বেশি থাকে। গড়ে দেড় শ মানুষ প্রতিদিন আসেন বলে রেস্তোরাঁর বিক্রয়কর্মীরা জানালেন।

আবদুল হাদী (১৮) পাঁচ বছর ধরে রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশনকারীর কাজ করছেন। তিনি জানান, এখানে পালাক্রমে ১৫ জন কর্মচারী ও বাবুর্চি কাজ করেন। হাঁস ও মুরগির মাংসের পাশাপাশি অর্ডার অনুযায়ী ছোট-বড় মাছের ভাজা ও তরকারি রান্না করা হয়। শীতের মৌসুমে বেসন দিয়ে লাউফুল বড়া, বেগুনভাজা আর শাকসবজিসহ নানা আয়োজনও করা হয় ভোজনরসিকদের চাহিদা অনুযায়ী। টাটকা খাবারের জন্যই মূলত এ রেস্তোরাঁর সুনাম ছড়িয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews