একসময় মৃতদেহ জীবিত করার কথা কল্পনা করাও অসম্ভব মনে হতো। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে এখন এটি আর শুধু কল্পনা নয়। আমেরিকার কিছু বিজ্ঞানী এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যা দিয়ে মৃত মানুষকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হতে পারে বলে তারা দাবি করছেন।
বিজ্ঞানীরা "ক্রায়োনিক্স" নামের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এই প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ বা মস্তিষ্ককে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে সেসব দেহকে জীবিত করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার অ্যালকর লাইফ এক্সটেনশন ফাউন্ডেশন এবং মিশিগানের ক্রায়োনিক্স ইনস্টিটিউট এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
অ্যালকর ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয় ১৯৭২ সালে এবং ক্রায়োনিক্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৬ সালে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো শতাধিক মৃতদেহ এবং মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করছে ভবিষ্যতের পুনর্জীবনের আশায়। তবে এটি আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে।
বিজ্ঞানীদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করা, যা দেহের কোষগুলোকে পুনরায় কার্যক্ষম করতে পারবে। তবে এ গবেষণা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে, জীবন সৃষ্টি এবং পুনরুজ্জীবনের একমাত্র ক্ষমতাধারী আল্লাহ।
সহিহ মুসলিমের হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, দাজ্জাল এমন অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করবে, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। এর মধ্যে অন্যতম হবে মৃত মানুষকে জীবিত করার ক্ষমতা। এটি কেয়ামতের একটি বড় আলামত। তাহলে কি সত্যিই দাজ্জালের আগমন ঘটতে যাচ্ছে?
কোরআনে সূরা আল-ইমরান (৪৯) এবং সূরা মায়িদা (১১০) -এ আল্লাহর আদেশে হযরত ঈসা (আঃ) -এর মৃত মানুষকে জীবিত করার মুজিজার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এটি ছিল আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
তাই কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছা এবং কুদরত হিসেবে মেনে নেওয়াই শ্রেয়। বিজ্ঞানীদের এমন দাবি দাজ্জালের প্রতারণার একটি কৌশল হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন।