সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৪ সালের জুনে টিপু কিবরিয়াকে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি ও পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছিল। তবে মামলায় রায়ে তিনি খালাস পান। তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে সাহিত্যচর্চার আড়ালে আবার শিশু পর্নোগ্রাফির পুরোনো পথে হাঁটেন।
সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিপু কিবরিয়া পুলিশকে বলেছেন, তিনি ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি আধেয় (কনটেন্ট) বানাতেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনি ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের সামান্য অর্থ দিয়ে নিজ বাসায় ডেকে নিতেন। নিজের ক্যামেরায় পথশিশুদের অশালীন ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করতেন। তিনি বিভিন্ন পার্কের নির্জন স্থানেও একই কাজ করতেন। ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের সংগ্রহ করার জন্য তাঁর কয়েকজন সহযোগী আছেন, যাঁদের মধ্যে কামরুল অন্যতম। অশ্লীল ছবি ও ভিডিওগুলো তাঁরা বিভিন্ন পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটে আপলোড করতেন। এগুলো দেখে অনেকে টিপু কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তাঁরা আরও চাহিদা দিতেন।