৪৩ মিনিট আগে
সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে সুরক্ষা চাইলেন এস আলম— আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি।
এতে বলা হয়েছে, নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির আলোকে এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম তার বিনিয়োগের সুরক্ষা চেয়েছেন। সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিসি মামলা করতে পারেন। প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নেবে।
তাদের পক্ষে কুইন ইমানুয়েল উর্কুহার্ট অ্যান্ড সালিভান নামক এক আইনি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুর সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। ওই সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে কুইন ইমানুয়েল উর্কুহার্ট অ্যান্ড সালিভান।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, আহসান মনসুর এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক’। এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভুল ও মানহানিকর।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মন্তব্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বিদেশি বেসরকারি আইন অনুসারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে এস আলম ও তার পরিবারের অধিকার ও সুরক্ষা আছে।
আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিভক্ত অভ্যুত্থানের শরিকরা— সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সাড়ে তিন মাসের মাথায় তার দল আওয়ামী লীগ নিয়ে অভ্যুত্থানের শরিকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের একটি বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ''আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলকে আগামী নির্বাচনে চায় বিএনপি। '' এ নিয়েই অভ্যুথানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, ভোটে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ঠিক নয়। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে বিএনপি কখনোই সুপারিশ কিংবা প্রস্তাব দেয়নি।
এদিকে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতারা নমনীয়তা দেখালেও একবিন্দু ছাড় দিতে নারাজ ছাত্র নেতারা। তারা দলটিকে ভোটে আনতে নারাজ। এমনকি ভোটে আনার কথাকে-ও 'অপরাধ' মনে করছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিচারের সুপারিশ করতে পারবে আদালত। এমন বিধান রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রস্তাবে আদালতকে সেভাবে সরাসরি ক্ষমতা দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, আদালত যদি মনে করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে তারা সুপারিশ করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবেন।
তবে এটি উপদেষ্টা পরিষদের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি। আরও বলছিলেন, আজ এটি অনুমোদন পেলে আগামীকাল আইনে পরিণত হবে এবং তারপর প্রক্রিয়াগত কারণে যত দিন লাগে।
এমন সময়ে উপদেষ্টা পরিষদে এই সংশোধনী যাচ্ছে, যখন ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে কি না সে-ই প্রশ্ন উঠেছে।
থানা, পুলিশ ফাঁড়িসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ চিহ্নিত অপরাধীরা কিনছেন বলে আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, সন্ত্রাসীদের হাতে আসা অস্ত্র দিয়ে নানা অপকর্ম হচ্ছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে পুলিশে উদ্বেগ আছে।
১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দিন থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনায় হামলা, কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দিদের বিদ্রোহ, পালিয়ে যাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশে ৪৬০টি থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে
তখন সারাদেশে ৫ হাজার ৭৪৯টি অস্ত্র ও ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। এছাড়া টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস ক্যানিস্টার, কালার স্মোক গ্রেনেড ও ওয়াকিটকি লুট হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৮২ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য উপকরণ, ৪ হাজার ৩১৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই সময় থানা ও সরকারি স্থাপনার বাইরে ব্যক্তিগত অস্ত্র লুটের ঘটনাও ঘটে।
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩২টি ভারী অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।
এদিকে, ঢাকাসহ সারাদেশে অপরাধ আগের চেয়ে বেড়েছে। রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিনতাই নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি তার বক্তব্যে 'ষড়যন্ত্রের বিষয়ে' নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বলেছেন, ‘‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। আপনারা নিশ্চয়ই গত কয়েক দিনের পত্র-পত্রিকার খবর থেকে বুঝতে পারছেন।...কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে। কাজেই জনগণকে সচেতন করতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহি তৈরি হয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির প্রথম কাজ বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তার মতে, ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
Defaulted loans may double next year— অর্থাৎ আগামী বছর খেলাপি ঋণ দ্বিগুণ হতে পারে। দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার সংবাদের শিরোনাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের ৯ মাস শেষে মানে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের রেকর্ড খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। যা আগামী বছরে বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে, এমনটা বলছেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ। টাকার পরিমাণে যা ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সব ধরনের ঋণ শ্রেণিকরণ নীতিমালা কঠোর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের জন্য একটি খসড়া গাইডলাইন তৈরি করেছে। যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে এবং ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা হুসনে আরা শিখা।
খসড়া নির্দেশিকা অনুসারে, নির্ধারিত তারিখের পরে তিন মাসের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ না করলে যে কোনও ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে তা বিলম্বিত বলে গণ্য হবে।
বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা সময়মতো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ পরিশোধের তারিখের ছয় মাস পর ঋণ বকেয়া বলে গণ্য হয়।
হাইকোর্টের তিনি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক ও এ কে এম জহিরুল হক পদত্যাগ করেছেন বলে তাতে বলা হয়েছে। অসদাচরণের অভিযোগে উনিশ সালের আগস্টে তাদেরকে বিচারকাজ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
তাদেরকে এমন সিদ্ধান্ত জানানোর পর তারা ছুটির প্রার্থনা করেন। এরপর বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও বিচারকাজে বসতে পারেননি এ তিন বিচারপতি।
গত ২০ অক্টোবর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দেন আপিল বিভাগ। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের পরিবর্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফেরে।
এই রায়ের পর হাইকোর্টের তিন বিচারককে নিয়ে বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বিচারপতির অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। যদিও প্রতিবেদনটি ‘মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে ওইদিনই বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
HC orders probe into Adani power deal— ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়েছে, ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠী আদানির সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে অসম চুক্তি বাতিল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এছাড়া ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির সময় যে দর কষাকষি হয়েছিল, তার নথিও এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এ আদেশ দেন।
২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।