আইজগো আমার পুতের রেজাল্ট দেবে, আইজগো আমার পুতে কত খুশি হইতো। আইজগো কতো কথা কইতে মায়ের লগে। এমনটা বলে কাঁদো কাঁদো চোখে বিলাপ করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাগর গাজীর মা শাহিদা বেগম।
আজ ১৫ অক্টোবর সারাদেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়। রেজাল্ট পেয়েছে নিহত সাগর গাজীর পরিবারও। ৩ পয়েন্ট ৯২ পেশে পাশ করেছে সাগর। তবে তার পরিবারের মাঝে নেই কোন আনন্দ উল্লাস।
পটুয়াখালির গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন সাগর গাজী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয় সাগর। ডাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাড়ি মোঃ সিরাজুল গাজী ও শাহিদা বেগম দম্পতির তিন ছেলের ছোট ছেলে সাগর। পড়াশোনা শেষে হতে চেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। তবে তার এই স্বপ্ন গুড়িয়ে গেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।
নিহত সাগরের বড় ভাই বলেন- সাগর ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিল। ওর ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। শহীদের রক্ত নিয়ে কেউ যেন বেইমানি না করতে পারে সেই দাবী তার।
সাগরের মা আরও জানান- সাগর চেয়েছিল পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পরিবারের দুঃখ কষ্ট ঘোচাতে। আমাকে বলতো মা আমি ইঞ্জিনিয়ার হবো। ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় আমাকে বলল না আমি ছাত্র আন্দোলন অংশগ্রহণ করতে ঢাকা যাবো। আমরা যেত না দিলে জোর করে যায়।
উল্লেখ্য, বরিশাল বোর্ডে এবছর পাশের হার ৮৬.৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ৩৮৬ শিক্ষার্থী।