জনপ্রিয় সুপারহিরো স্পাইডার-ম্যান অবশেষে প্লেস্টেশনের দুনিয়া কাঁপিয়ে এবার পিসিতে হাজির হয়েছে ১২ আগস্ট। বহু গেমার অধীর আগ্রহে মার্ভেল’স স্পাইডার-ম্যান গেমটির পিসিতে আসার অপেক্ষা করছিল। প্লেস্টেশন ৪ কনসোলে গেমটি প্রথম প্রকাশিত হয়। শুরু থেকেই গেমপ্লে, গ্রাফিকস আর কাহিনির জন্য স্পাইডার-ম্যান ও তার নির্মাতা ইনসমনিয়াক গেমস সুনাম কামিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দেখার বিষয়, পিসি সংস্করণে কোনো ত্রুটি থাকায় সেই সুনাম নষ্ট হয় কি না।
ওপেন ওয়ার্ল্ড অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার ঘরানার গেম এটি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের পুরোটাই স্পাইডার-ম্যান হিসেবে দাপিয়ে বেড়াতে পারবে গেমার। ঘুরে ঘুরে ছোটখাটো অপরাধ দমন, কিছু পাজলের সমাধান করার পাশাপাশি থাকবে গেমের মূল রহস্যের সমাধান। নিউ ইয়র্কের মূল ক্রাইম বস উইলসন ফিস্কের পতনের পর তার গড়ে তোলা অপরাধ সাম্রাজ্য কারা সম্মিলিতভাবে দখলে এনে আবারও চালু করার চেষ্টা করছে, সেটা খুঁজে বের করা। গেমটি খেলার সময় বেশ কিছু চিরচেনা স্পাইডার-ম্যান ভিলেন, যেমন ইলেকট্রো, ডক অক্টেভিয়াসের সঙ্গে মিনি-বস ফাইট করতে হবে। এর পাশাপাশি প্রচুর মিশনের লক্ষ্য থাকবে গোয়েন্দা হিসেবে মূল কাহিনির একেকটি অংশ উন্মোচন করা। তার পাশাপাশি সাইড মিশন এবং পিটার পার্কারের নিজস্ব জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করাও গেমপ্লের বড় অংশ।
অনেকেই রকস্টেডি স্টুডিওর ‘ব্যাটম্যান : আরখাম নাইট’ সিরিজের পর অন্যান্য সুপারহিরো গেমের মারামারির স্টাইল নিয়ে সমালোচনা করেছে। আরখাম সিরিজের মতো দ্রুতগামী ফাইটিং স্পাইডার-ম্যানে নেই, তবে স্পাইডার-ম্যানের বিশেষ ক্ষমতাগুলো কাজে লাগিয়ে বড়সড় শত্রুদলও দমন করা গেমটির অন্যতম আকর্ষণ। বিশেষ করে ওয়েবে ঝুলে দূর থেকে এসে শত্রুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অতর্কিত হামলার পর আবারও ওয়েবে ঝুলে দ্রুত অন্য এলাকায় চলে যাওয়ার মতো গতিশীল গেমপ্লে খুব কম গেমেই দেখা যায়। স্পাইডার-ম্যানের ওয়েব শুটিং, বিভিন্ন গ্যাজেটের ব্যবহার এবং তার স্পাইডারসেন্সকে গেমটিতে কাজে লাগানো হয়েছে চমৎকারভাবে। পিসি সংস্করণের গ্রাফিকস প্লেস্টেশন ৫-এর সমকক্ষ বা অল্পবিস্তর এগিয়ে। বিশেষ করে আলট্রাওয়াইড মনিটর সমর্থন প্রায় সব গেমারের এবং ডিএলএসএস ২ ও রেট্রেসিং সুবিধা গেমটি এনভিডিয়া জিপিইউ ব্যবহারকারীদের দেবে বাড়তি সুবিধা। তবে যে কম্পানির জিপিইউই হোক না কেন, স্পাইডার-ম্যানের গ্রাফিকস অনবদ্য। যারা সিস্টেম হাই গ্রাফিকসে চালাতে পারবে, তারা গেমটি খেলে দারুণ অভিজ্ঞতা পাবে।
খেলতে যা যা লাগবে
অন্তত চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৩ বা এএমডি বুলডোজার সিপিইউ, ৮ গিগাবাইট র্যাম, এনভিডিয়া জিটিএক্স ৯৫০ বা এএমডি রেডিওন আরএক্স ৪৭০ মডেলের জিপিইউ এবং ৭৫ গিগাবাইট জায়গা। গেমপ্যাড বা কন্ট্রোলার দিয়ে খেলাই শ্রেয়।
বয়স
অন্তত কিশোর বয়সী হতে হবে গেমটি খেলার জন্য।