সন্দেহভাজন গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে কাতারে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিল ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক আট কর্মকর্তা। তাদের মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছিলেন কাতারের আদালত। ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় অবশেষে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে জেল থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের মধ্যে সাতজন ভারতে ফিরে এসেছে। ভারতীয়দের মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সফল করার জন্য কাতারের আমিরের সিদ্ধান্তের প্রশংসা জানিয়েছে ভারত।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ভারত সরকার কাতারে আটক দাহরা গ্লোবাল কোম্পানিতে কর্মরত আট ভারতীয় নাগরিকের মুক্তিকে স্বাগত জানায়।’
একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আটজনের মধ্যে সাতজন ভারতে ফিরে এসেছে। আমরা কাতারের আমিরের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করি।’
নৌবাহিনীর প্রবীণ সেনাদের ২৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড দেন কাতারের ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স আদালত। উপসাগরীয় দেশটির আপিল আদালত ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়।
ভারতীয় ওই নাগরিকরা বেসরকারি সংস্থা আল দাহরায় কর্মরত ছিল। ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২০২২ সালের আগস্টে তাদের গ্রেপ্তার হয়।
কাতার বা নয়াদিল্লি কেউই ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেনি। গত বছরের ২৫ মার্চ ওই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল এবং তাদের কাতারের আইনে বিচার করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড কমানোর পর তাদের জেলের মেয়াদের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের মে মাসে, আল-দাহরা গ্লোবাল কোম্পানি দোহায় তার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং সেখানে যারা কাজ করে (প্রাথমিকভাবে ভারতীয়) তারা সবাই তখন থেকে দেশে ফিরে গেছে।
ভারত দণ্ডিত ব্যক্তিদের স্থানান্তরের বিষয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিধান চালু করার সম্ভাবনাও দেখছিল। ২০১৫ সালে ভারত ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে দুই দেশের নাগরিকরা যদি একে অন্যের দেশে সাজাপ্রাপ্ত হয় তাহলে তারা তাদের নিজ দেশে সাজা ভোগ করতে পারবে।