পাকিস্তানের মাঠে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে ফুরফুরে অবস্থায় বাংলাদেশ। সেই সিরিজের রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতে উড়াল দিতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের। 

১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে শুরু  বাংলাদেশ-ভারত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যেখানে ভারত এখন টেস্ট র‍্যাঙ্কিং, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল দুই জায়গাতেই আছে শীর্ষে। ঘরের মাঠে সবশেষ ভারত টেস্ট সিরিজ হেরেছে ২০১২ সালে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৮ ম্যাচের মুখোমুখি দেখায় ভারতকে ৯ বার হারিয়েছে বাংলাদেশ। সবগুলো জয়ই এসেছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে)। টেস্টে এবার প্রথমবারের মতো ভারতকে বাংলাদেশ হারাতে পারবে বলে আশা করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মিরাজের মতে প্রত্যাশার চাপ বেশি না নিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে। মিরপুরে আজ (৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার) অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই চ্যালেঞ্জ থাকে। প্রত্যেক সেশন, প্রত্যেক বল, সবটাই চ্যালেঞ্জ। ব্যাটার, বোলার-সবার জন্য। ভারত অবশ্যই দারুণ দল। যেভাবে আমরা খেলছি, সেভাবে যদি থাকি, ফলের চিন্তা না করে যদি পারফর্ম করার কথা চিন্তা করি, তাহলে ভালো ফল আসবে।’

চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট সামনে রেখে ভারত ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে রবিবার  রাতে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাটিং লাইন আপে আছেন লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্তের মতো তারকারা। ১৬ সদস্যের ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণও সমীহ জাগানিয়া। কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরা, অক্ষর প্যাটেলরা নিজেদের মাঠে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, তা তো কারও অজানা নয়। ভারতের ব্যাটিং-বোলিংয়ের ব্যাপারে মিরাজ বলেন,‘তাদের বোলাররা অনেক ভালো। ব্যাটাররাও দুর্দান্ত।

ভারতের মাঠে এর আগে তিন টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটিতেই বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। যার সর্বশেষ ছিল ২০১৯ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দুই টেস্টেই ইনিংসে জিতেছে ভারত। অতীত ইতিহাসের কথা স্মরণ করে মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। ভারতের মাঠে এর আগেও আমরা টেস্ট খেলেছি। আগের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে উইকেটের আচরণ সম্পর্কে। আমার মনে হয় সেখানে উইকেট অনেক ভালো থাকবে।’১০ উইকেট ও ১৫৫ রানের  অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজসেরা হয়েছিলেন মিরাজ।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের পর দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটের বড় জয় পায় শান্তর দল। এই ম্যাচে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের ১০  উইকেটের সবকটিই তুলে নেন পেসাররা। হাসান মাহমুদ ৫, নাহিদ রানা ৪ ও তাসকিন আহমেদ ১। যদিও ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি শরিফুল ইসলামের। সুস্থ হয়ে ওঠা  বাঁহাতি এ পেসার ভারত সফরে অন্য একটা চ্যালেঞ্জও দেখছেন। দেশে কিংবা পাকিস্তানের মাটিতে সর্বশেষ কোকাবুরা বলে খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতে খেলতে হবে এসজি বলে। স্বাভাবিকভাবে কোকাবুরার চেয়ে এসজি কিছুটা ভারী হওয়ায় আলাদা করে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। 

বিসিবি মিডিয়ায় আপলোড করা এক ভিডিওতে প্রস্তুতি নিয়ে শরিফুল যেমন বলছিলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে, আরও ভালোমতো নেব। বল যেহেতু একটা ফ্যাক্ট।  আমরা খেলছি কোকাবুরাতে, এখন খেলব এসজিতে—এটার সঙ্গে আমরা যত মানিয়ে নিতে পারব, ততই আমাদের জন্য ভালো।’ বাংলাদেশ এর আগে সর্বশেষ ভারত সফর  করেছিল ২০১৯ সালে। সেবার ব্যাটে-বলে কোনোভাবেই লড়তে পারেনি। এবার প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। টাইগাররা নিজেদের শেষ ৮ টেস্টে ৫ টিতে জয় পেয়েছে। পাকিস্তানসহ হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews