সাময়িক বন্ধ থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাশিয়ার সম্ভাব্য বড় ধরনের বিমান হামলার হুমকির পর দিনের বেলা বন্ধ থাকলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দূতাবাসের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ কিয়েভ দূতাবাসে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক একটি পোস্টে জানান, দূতাবাস পুনরায় চালু হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার ও ইউক্রেনের সরকারি আপডেট পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিমান হামলার সতর্কতা জারি হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতালি ও গ্রিস তাদের দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফরাসি দূতাবাস খোলা থাকলেও নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
ক্রেমলিন থেকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তাদের কোনও মন্তব্য নেই।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, দূতাবাস বন্ধ রাখার পেছনে চলমান রুশ বিমান হামলার হুমকি প্রধান কারণ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার প্রচারিত আতঙ্ক সৃষ্টিকারী বার্তা কেবল তাদেরই উপকৃত করে। তবে বিমান হামলার সতর্কতা সর্বদা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ইউক্রেন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে হামলা চালায়। এটি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ১,০০০তম দিনে সংঘটিত হয়।
মস্কো দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে আসছে, ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার মিসাইল দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হানার অনুমতি দিলে তা সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর শামিল হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার কৌশলগত পারমাণবিক হামলার সীমা আরও কমানোর ঘোষণা দেন, যা উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে।
রুশ বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন ন্যাটোর দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সহায়তা করলে মস্কো পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।