অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনের যে সংশোধন অনুমোদন করেছে, তাতে থাকছে না রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার স্বচ্ছ বিচার করতে চাচ্ছে। তাই এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার অভিযুক্ত কর্মকর্তাদেরও বিচারের সুযোগ রাখা হয়েছে খসড়ায়।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
গতকালই প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়। এ ছাড়া বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। খসড়ার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কিছু কিছু অপরাধের স্থল ঠিক করা ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এখন বাংলাদেশের বাইরেও যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আমলযোগ্য কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়, সেগুলোও নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে বিবেচনায় নেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে– পাবলিক হিয়ারিং হবে কিনা। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ ছবি নিতে চান, কোর্ট প্রসিডিংয়ের ভিডিও-অডিও এগুলো রেকর্ড করতে চান। আমরা মডার্ন হয়েছি, প্রগেসিভ হয়েছি, আলাপ-আলোচনা হয়েছে যে কোর্টের ডিসকাশনে ছেড়ে দিতে পারি। পরবর্তী সময়ে রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণের জন্য তারা অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারে। আইনে সেই প্রভিশনটা রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল এগুলো রেকর্ড করতে পারবে। তবে এগুলো বাইরে সম্প্রচার হবে না। গণমাধ্যমের এটা করার সুযোগ থাকবে না।’
শেখ আব্দুর রশীদ আরও বলেন, ‘একটা মামলার প্রসিডিং চলছে, এটা চলা অবস্থায় কোনো একটা পয়েন্টে বা ছোট্ট একটা অর্ডারের বিপক্ষে সংক্ষুব্ধ কেউ আপিল করতে চাইতে পারে, এ অর্ডারটা বা অংশটুকু আমরা মানি না। সেই অন্তর্বর্তী আপিল তারা করতে পারবেন, সেই প্রভিশন অধ্যাদেশে যুক্ত হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে সেটা নিষ্পত্তি করতে হবে।’
তিনি বলেন, বিচারকাজ পর্যবেক্ষণে বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষক আনা যাবে। আগের আইনে এটি ছিল না। আইসিটি আইনের অন্তত ২০টি ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে এবারের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর সংজ্ঞা যুগোপযোগীকরণ, অপরাধের দায় নির্ধারণ, অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে বিচারকাজ ধারণ ও সম্প্রচার, বিদেশি কাউন্সেলের বিধান, বিচারকালে অভিযুক্তের অধিকার, অন্তর্বর্তীকালীন আপিল, সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা সংক্রান্ত বিধান, তদন্তকারী কর্মকর্তার তল্লাশি ও জব্দ করার বিধান, পর্যবেক্ষক, সাক্ষীর সুরক্ষা, ভিকটিমের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষার বিধান সংযোজন করে সংশোধনীর খসড়াটি করা হয়েছে।
স্বচ্ছ বিচারে জোর আইন উপদেষ্টার
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে থাকছে না। গত রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ায় প্রয়োজনীয় ধারা যুক্ত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার শুরুর পর দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এই আইনের বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি তুলে ধরেন। অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছ বিচার করতে চাচ্ছে। তাই এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য দেশের প্রথিতযশা সব আইন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিকদের মতামত নেওয়া হয়েছে। পরে খসড়াটি দেশি-বিদেশি প্রসিদ্ধ আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, সংস্থা এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় পাঠিয়ে যাচাই করা হয়েছে। এর পর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের উত্থাপন করা হলে তা গৃহীত হয়।
তবে রাজনৈতিক দলকে বিচারের আওতায় আনার যে ধারাটি খসড়ায় রাখা হয়েছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এই বিচারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়কে জড়ানো ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয় যুক্ত করা হলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার সে সুযোগ দিতে চায় না। কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হলে বা সমাজে দাবি উঠলে দেশে সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, ১৯৭৮ পলিটিক্যাল পার্টি অর্ডিন্যান্সে রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের জন্য জনদাবি উঠলে বা রাজনৈতিক মতৈক্য হলে সেই বিচার করার সুযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে থাকল না, অন্য প্রচলিত আইনে বিচার করা সম্ভব। আসিফ নজরুল বলেন, ট্রাইব্যুনালের আইনে যেসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে, তার একটি হলো গণহত্যার সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে ঠিক করা হয়েছে। এ আইনে অভিযুক্তরা যে কোনো প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাক্ষ্য আনতে পারবে, যে কোনো সাক্ষীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে। সাক্ষীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ইচ্ছে করলে এই বিচারকার্য অডিও ভিজ্যুয়াল রেকর্ডিং করতে পারবেন, চাইলে কোনো অংশ প্রচার করতে পারবেন। তিন ধরনের বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার বিধান রাখা হয়েছে– সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সহায়ক শক্তি। গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেই এটি আইনে পরিণত হবে। অভিযুক্তরা বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবে। আন্তর্জাতিক বা দেশীয় মানবাধিকার সংস্থা বা অন্য কেউ চাইলে বিচার কাজের পর্যবেক্ষক হতে পারবে। বিচারকার্য চলাকালে কোনো পক্ষ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, এ মামলাটি এই আদালতে চলতে পারে কিনা, অথবা ট্রাইব্যুনাল যদি কারও বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন তবে তারা প্রতিকারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সময়েই আপিল বিভাগে যেতে পারবে।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান বাতিলে অধ্যাদেশ অনুমোদন
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিলের জন্য অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
এ জন্য আইনটি বাতিল করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মুজিববর্ষ পালনে ৬ বছরে ব্যয় ১২৬১ কোটি টাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ বা মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মুজিববর্ষ পালনের বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ১২৬১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে উপদেষ্টা পরিষদকে জানানো হয়। বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ-সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সংশোধনী অধ্যাদেশ অনুমোদন বৈঠকে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার যথাযথভাবে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। ওই আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং ৫ জন অবৈতনিক সদস্য সমন্বয়ে মানবাধিকার কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে।
বিগত ৭ নভেম্বর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য ও ৪ জন অবৈতনিক সদস্য পদত্যাগ করেন। আরেকজন অবৈতনিক সদস্য গত ২২ আগস্টেই পদত্যাগ করেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পদত্যাগ করায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
আইন কর্মকর্তা নিয়োগে অধ্যাদেশ অনুমোদন
উপদেষ্টা পরিষদ ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, অভিজ্ঞ, দক্ষ ও যোগ্য অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান অ্যাটর্নি সার্ভিসকে শক্তিশালী করা আবশ্যক। এ উদ্দেশ্য পূরণে দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২ এর অধিক সংশোধন করা হয়।
অভিবাসী ও প্রবাসী দিবস একই দিনে
এ বছর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস একই দিনে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
বৈঠকে জানানো হয়, প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ এবং ৩০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ (মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে) পালিত হয়ে আসছে। তবে এ বছর দুটি দিবস একই দিনে পালনের প্রস্তাব করা হলে তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়। দিবস দুটি একসঙ্গে পালন করলে শ্রমঘণ্টা সাশ্রয়সহ সরকারি অর্থের ব্যয় সংকোচন সম্ভব হবে বলে জানানো হয়।