সঞ্জিত বেঁচে থাকলে ওর বয়স হতো বত্রিশের কাছাকাছি। মানে আমার থেকে একটু বাড়িয়ে বললাম। ছোটবেলা থেকে আমাদের সংসারে জন্ম নিবন্ধনের কোনো রেওয়াজ ছিল না। তাই আমরা কেউই আমাদের সঠিক জন্মদিন জানি না। আমাদের মা-বাবা, বড় ভাই কারোরই না। এই যে লিখছি, এই লেখাটিও আমাদের আগের প্রজন্ম পড়তে পারত না। এখন অবশ্য কয়েকজন আছে যারা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পড়ছে।
আমাদের জন্ম তারিখ এসেছে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তির কাছ থেকে। কারটা কোথা থেকে এসেছে আমি জানি না। তবে আমার প্রাতিষ্ঠানিক জন্মদিনটা এসেছে আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনু দিদিমণির কাছ থেকে।
অনু দিদিমণি আমার জীবনের এক মহাগল্প, সেই গল্প আরেকদিন করা যাবে। আজ করব আমার ভাইয়ের গল্প। আমার বন্ধুর গল্প। আমার দরদ মাখানো সেই ভাই, তার গল্প।