নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে সে ধরনের কিছু আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই। ২০ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২০২৫–এর অধ্যাদেশে ধারা ৯ (খ) নামের একটি নতুন ধারা সংযোজনের মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রণয়ের সম্পর্ক থাকাকালে বিয়ের প্রলোভন বা অন্যবিধ প্রতারণার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি যদি ১৬ বছরের অধিক বয়সী কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন, তাহলে সেই যৌনকর্ম ‘ধর্ষণ’ বলে বিবেচিত হবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির ‘অপরাধ’ প্রমাণিত হলে অনধিক ১০ বছর কিন্তু অন্যূন ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হবে এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
এটি একটি সমস্যাযুক্ত ধারা। কারণ, যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ থেকে আলাদা করা হয় কেবল ‘সম্মতি’ নামক শর্তটি দিয়ে। এ ক্ষেত্রে অপরাধটিকে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে বিয়ের সম্পর্ক বা প্রেমের সম্পর্ক আছে বা ছিল কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আগে ঘটিত কোনো ধর্ষণের অপরাধকে পরবর্তী সময়ে বিয়ের মাধ্যমে যেমন জায়েজ করা যায় না, ঠিক তেমনি প্রণয়ের সম্পর্কে সম্মতিসহ স্থাপিত যৌন সম্পর্ক পরবর্তী সময়ে ধর্ষণ হয়ে যায় না। এটি খুবই সরল একটি বিষয়।