গত বছর সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত ছবি অ্যানিমাল মুক্তির পর থেকেই ববি দেওয়াল শিরোনামে। তবে এই ধুমধাম অভিনেতার জন্য নতুন কিছু নয়। গুপ্ত এবং সৈনিকের মতো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, ববি দেওয়াল ৯০ দশকের শেষের দিকে বেশ আলোচিত হয়েছেন। ২০০১ সালের একটি সাক্ষাৎকারে মণীষা কৈরালার সঙ্গে গুপ্ত-এর জন্য একটি রোম্যান্টিক গানের শুটিং করার সময় ববি একটি মজার ঘটনা তুলে ধরেছিলেন।
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় গুপ্ত। এই ছবিতে ববির নায়িকা ছিলেন মণীষা কৈরলা এবং কাজল। এ ছবিতে কাজল ছিলেন ভিলেন, আর নায়িকা মণীষা। ছবিতে ববি-মণীষার রোম্যান্স নজর কেড়েছিল। ‘বেচানিয়া’ গানে ববি-মণীষার বেশকিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ছিল, আর সেখানেই নায়িকার মুখের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হন ববি! ২০০১ সালে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা ফাঁস করেছিলেন অভিনেতা।
ববি বলেন, ‘আমার সঙ্গে মণীষার বনিবনা হতে অসুবিধা হয়নি, যদিও আমরা বন্ধু হয়ে উঠিনি। তবে বেচানিয়া গানের শুটিংয়ে ওকে আমার মুখের কাছে মুখ এনে থুঁতনি কামড়ানোর দৃশ্য ছিল। কিন্তু যেই আমার মুখের সামনে ও মুখটা আনল গা গুলিয়ে ওঠে! দৃশ্যের শুটিং করার আগে ও ছোলার চাট খেয়েছিল, তাতে কাঁচা পেঁয়াজ ছিল। আমি নিজেও জানি না কিভাবে আমি ওই দৃশ্যটা শেষ করেছিলাম। কারণ সেই মুহূর্তে আমার মধ্যে রোম্যান্স কোনোভাবেই জাগছিল না’।
ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন ববি! নায়িকার বিরুদ্ধে শোধ তুলতে ছক করেছিলেন ববি। এক নবাগতকে কাঁচা পেঁয়াজ খাইয়েছিলেন, যার মণীষার সঙ্গে একটি দৃশ্য ছিল। যাতে মণীষাও মুখের দুর্গন্ধের মুখোমুখি হন। ববি বলেন, ‘আমি আর ফাইট মাস্টার দুজনে ছক কষে এক নবাগতকে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়াই। ছবিতে সে মণীষার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছিল। আমরা ওকে বুঝিয়ে ছিলাম কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে অভিনয়ের সময় মনোসংযোগ বাড়ে। এতে ওর কাজটা ভালো হবে। এরপর ওকে বলি মণীষার কাছে গিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে। আমরা খুব অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত ছিলাম, মণীষা কিছু একটা রিঅ্যাক্ট করবে। কিন্তু আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ ও কোনো প্রতিক্রিয়াই দেয়নি। ফলে আমাদের প্ল্যান ভেস্তে যায়’।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ববি জানান, এ গানের শুটিংয়ের সময় তার পা ভেঙে যায়। সেই কারণে কোরিওগ্রাফার তাকে পায়ের কোনো নড়াচড়া দেননি, বরং হাত নেড়েই নাচ শেষ করার নিদান দেন। পরে সেটাই ‘ববি দেওল স্টাইল' নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।