আমাদের দেশে যত রাজনৈতিক দল আছে, জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সব দলেই ২০-এর ১ (ক) ধারা নামে-বেনামে বা অন্য নামে তাদের গঠনতন্ত্রে লেখা আছে। দলের প্রধান ‘তাঁকে দেওয়া ক্ষমতাবলে’ যে কাউকে দলের যে কোনো পদ দিতে পারেন। কার কি বলার আছে? সবই বিধিবদ্ধভাবে দলের কোনো না কোনো ধারামতে করা হয়েছে।
জি এম কাদের কেন গঠনতন্ত্র বদলাতে যাবেন? তাঁর বড় ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ হলেও তাঁর অধিকার আছে এই ধারা আঁকড়ে ধরে রাখার। আর তিনি চাইলেই কি পারবেন ধারা বদলাতে? তাঁর স্ত্রী শরীফা কাদের এখন দলে বেশ ক্ষমতাশালী। তিনি কি দেবেন জি এম কাদেরকে এই ধারা বদলাতে? তাঁকেও দোষ দেওয়া যায় না, সরকার ব্যাংকের সব টাকাকড়ি ফ্রিজ করে রেখেছে, স্বামীর চেয়ারম্যানশিপটাও যদি চলে যায়, তাহলে আর রইল কী!
এর মধ্যে ঐক্যের বাণী নিয়ে আবির্ভূত হয়েছেন দলটির রওশন এরশাদপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ। এক বিবৃতিতে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির ওপর আস্থা রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মামুন।
এত কিছুর পরেও কি বিদিশা চুপ থাকবেন? তিনিও যদি এরিক এরশাদের স্বাক্ষরের কাগজ হাতে নিয়ে বের হয়ে আসেন জাতীয় পার্টিতে তাঁদের অংশীদারত্বের দাবি জানাতে, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।