মঙ্গলবার ইউক্রেন মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। রাশিয়ার পাল্টা হামলার আশঙ্কায় বুধবার কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ইকোনোমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাময়িক বন্ধের পর কিয়েভে পুনরায় চালু হয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ কিয়েভে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক এক পোস্টে জানিয়েছেন, দূতাবাস পুনরায় চালু হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার ও ইউক্রেনের সরকারি আপডেট পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
হামলার আশঙ্কা থাকলে আবারও দূতাবাস বন্ধ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, বিমান হামলার সতর্কতা জারি হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র রুশ লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রতিক্রিয়ায় হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস পুনরায় খোলার সিদ্ধান্তে মনে করা হচ্ছে কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে দূতাবাস পুনরায় চালু করা রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় আমেরিকার সমর্থন অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত। বিশেষ করে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যার বিস্তৃত ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।
পরিস্থিতি ক্রমাগত বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো মিত্ররা রাশিয়ার প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সজাগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।