ছয় বলের ব্যবধানে আফগানদের তিন উইকেট তুলে ম্যাচের নাটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বাংলাদেশ। আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে শরিফুলের ক্যাচ বানিয়ে শুরুটা করেছিলে মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর নাসুম ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে।
এই দুই উইকেটের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই সেট ব্যাটার রহমত শাহ কাটা পড়েন রানআউটে। এর আগেই ফিরেছেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সাদিকউল্লাহ আতাল। এর ফলে ৩০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১১৯ রান তুলতে পেরেছে আফগানিস্তান। জয়ের জন্য তাদের আরও চাই ১৩৪ রান, হাতে আছে ৫ উইকেট।
তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহর সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন হাশমতউল্লাহ। ঠিক তখনই মোস্তাফিজের খাটো লেংথের বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন আফগান অধিনায়ক। ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন শরিফুল ইসলাম। এতে ১৭ রানেই শেষ হয় হাশমতউল্লাহর ইনিংস। পরের ওভারে বল করতে এসে আজমতউল্লাহকে স্টাম্প গুঁড়িয়ে দেন নাসুম আহমেদ। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়ানোর পর বোলিংয়েও নজর কাড়ছেন এই স্পিনার।
তিন বলে দুই উইকেট হারানোয় স্নায়ুচাপ বাড়ে আফগানদের। আর সে চাপের বলি হয়েই ফিরতে হয় সেট ব্যাটার রহমত শাহকে। ফিফটি পূর্ণ করার পরপরই রানআউটের ফাঁদে পড়েন তিনি। ক্রিজে নতুন ব্যাটার গুলবদিন নাইবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে সাজঘরের পথ ধরার আগে তার ব্যাটে আসে ৫২ রান।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৭৬ রান এসেছে অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ব্যাটে। ৩৫ রান করেছেন ওপেনার সৌম্য সরকার।
দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষিক্ত জাকের আলী। ৩১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এছাড়া স্পিনার নাসুম আহমেদের ব্যাটে এসেছে মূল্যবান ২৫ রান।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে ৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় ওয়ানডে তাই এখন বাঁচামরার লড়াই।