সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) রপ্তানির ‘প্রকৃত তথ্য’ প্রকাশ করে। সেখানে ইপিবির প্রকাশ করা তথ্যের সঙ্গে প্রায় ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ফারাক পাওয়া গেছে। এর পর থেকে রপ্তানির তথ্যের গরমিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যদিও ব্যবসায়ীরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন যে ইপিবি রপ্তানি আয়ের ফোলানো-ফাঁপানো তথ্য দিচ্ছে।
একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার সামষ্টিক মূল্যই হলো জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছর যে মূল্য সংযোজন হয়, তাকে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বলা হয়। একইভাবে মূল্য সংযোজন কমে গেলে অর্থনীতি সংকুচিত হয় বা নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়—এসব বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে থাকে। জিডিপির গণনায় ভোগ ও বিনিয়োগের পাশাপাশি রপ্তানি খাতের মূল্য সংযোজন যুক্ত হয়। গত মে মাসে প্রথম ছয়-সাত মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিদায়ী অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব দেয় বিবিএস।