সুইডিস ভাষায় তাঁর পুরো নামের উচ্চারণ মোটামুটি এমন: গ্রিয়েত্তা তিন্ তিন্ এলিওনুঅরা আন্ মান্ থুনবাড়ি (Greta Tintin Eleonora Ernman Thunberg)। কিন্তু তাকে আমরা চিনি ‘গ্রেটা থানবার্গ’ নামেই। কেউ কেউ তাকে ডাকেন গ্রেটা ‘হাউ ডেয়ার ইউ’ থানবার্গ নামে। বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দেওয়া পরিবেশকর্মী তিনি। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন অথচ কুড়ি বছর বয়সী গ্রেটার নাম শোনেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

২০০৩ সালের ৩ জানুয়ারি সুইডেনের স্টকহোমে গ্রেটার জন্ম। ৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম জলবায়ু পরিবর্তন ও এর সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারেন। তাঁর শিশুমন এই ভেবে হয়রান হয় যে, কেন বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল মোকাবিলায় তেমন কিছু করা হচ্ছে না! ছোট্ট গ্রেটা বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করেন। ১১ বছর বয়সে এসে তিনি খাওয়া-দাওয়া করা ও কথাবার্তা বলা প্রায় ছেড়ে দেন। ফলে, মাত্র তিন মাসে তাঁর ওজন কমে ১০ কেজি।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গ্রেটা প্রথমে তাঁর পরিবারে কার্বন ফুটপ্রিন্ট (Carbon footprint) কমানোর ওপর জোর দেন। তিনি তাঁর পিতামাতাকে অনেকটা বাধ্যই করেন এ ব্যাপারে। ‘কার্বন ফুটপ্রিন্ট’ কমানোর অংশ হিসেবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিমানে চড়া ছেড়ে দেয়। এর ফলে তাঁর অপেরা-গায়িকা মা-কে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও ছাড়তে হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গ্রেটার বাবা বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গ্রেটার মা পরিবেশপ্রেমের কারণে বিমানে চড়া ত্যাগ করেননি, বরং সন্তানের কল্যাণ-কামনাই তাকে এতো বড় ত্যাগ স্বীকার করতে বাধ্য করে।

পার্লামেন্টের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে গ্রেটা

নিজের পরিবারেই নিজের কার্যক্রম সীমিত রাখেননি গ্রেটা। ২০১৮ সালের অগাস্টে, ১৫ বছর বয়সে, সুইডিস পার্লামেন্টের সামনে এক অভিনব অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তিনি। ‘পরিবেশের জন্য স্কুল ধর্মঘট’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে তিনি প্রতি শুক্রবার পার্লামেন্টের সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতেন। ধীরে ধীরে তাঁর এই আন্দোলন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দা গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম তাঁর প্রভাবকে নাম দেয় ‘গ্রেটা প্রভাব’ (Greta effect)। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে তাঁর দেওয়া ভাষণের পর বিশ্বের প্রায় সব দেশের স্কুল শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে ‘পরিবেশের জন্য ধর্মঘট’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করা শুরু করে।

তবে, গ্রেটা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান ২০১৯ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে। তিনি সেই সম্মেলনে অংশ নিতে বিমানের পরিবর্তে পালতোলা নৌকায় চড়ে উত্তর আমেরিকায় যান এবং সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে বেশ কয়েকবার বিশ্বনেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করে ‘কতো দুঃসাহস তোমাদের!’ (How dare you!) বাক্যটি ছুড়ে দেন। তাঁর এই বাক্যটি দ্রুত বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মনে আছে, আমি টিভিতে সরাসরি তাঁর ভাষণটি দেখেছি ও শুনেছি। তখন আমার মনে হয়েছে, এই মেয়ের শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত।

গ্রেটা এখনও শান্তিতে নোবেল পাননি। তবে, শান্তিতে নোবেলের জন্য তিনি মনোনয়ন পান ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে। এখনও পর্যন্ত নোবেল না-পেলেও, তিনি ইতোমধ্যেই বিশ্বজুড়ে নানান সম্মাননা পেয়েছেন। ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে, বিখ্যাত ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের, ‘পারসন অব দি ইয়ার’ হয়েছেন তিনি। ‘ফোর্বস’ ২০১৯ সালে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান দিয়েছে।

এহেন প্রভাবশালী ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকবেন, এটা স্বাভাবিক। টুইটারে তাঁর মতো মানুষের টুইট সাড়া ফেলবে, এটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে, এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন ২০১৮ সালে করা একটি টুইট ডিলিট করা তথা মুছে ফেলার কারণে। তিনি সেই টুইটে একজন ‘শীর্ষ পরিবেশ বিজ্ঞানী’র বরাত দিয়ে লিখেছিলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে না-আনলে মানবজাতি পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

jagonews24মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম

টুইট ডিলিট করার বিষয়টা সম্প্রতি বিশ্ববাসীর নজরে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল বিশেষজ্ঞ জ্যাক পোসোবিয়েক (Jack Posobiec)। তিনি টুইটের স্ক্রিনশট দিয়ে অন্য এক টুইটে প্রশ্ন রাখেন: গ্রেটা, তুমি এটা কেন ডিলিট করেছো? আমার জানামতে, গ্রেটা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। তবে, তাঁর সমালোচকরা তাকে ধুয়ে ফেলার এই সুযোগ ছাড়ছেন না।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টিকে যারা তেমন বিপজ্জনক মনে করেন না বা স্রেফ ধাপ্পাবাজি মনে করেন, তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজিত গ্যাব্রিয়েল (Brigitte Gabriel)। তিনি এক টুইটে লেখেন: গ্রেটা থানবার্গ তাঁর টুইট ডিলিট করেছে, কারণ সে যে একজন প্রতারক, এই টুইটে তা প্রমাণিত হয়েছে।

২০২৩ সালের মধ্যেই মানবজাতি প্রকৃত অর্থেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তেমনটা হয়তো গ্রেটা তাঁর টুইটে বোঝাতে চাননি। আর তিনি যে প্রতারক নন, সে ব্যাপারে অন্তত আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই। তা ছাড়া, পরিবেশবাদীদের মধ্যে এ ধরনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার প্রবণতা আগেও লক্ষ্য করা গেছে। একদল বিজ্ঞানী বিংশ শতকের গোড়ার দিকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘বৈশ্বিক শীতলকরণ’ (global cooling)-এর কারণে, একসময় উত্তর আমেরিকা মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে। আবার, বিংশ শতকের সত্তুরের দশকে জীববিজ্ঞানী পল ইয়ালিশ (Paul Ehrlich) দাবি করেছিলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে, ২০০০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ব্যাপক অনাহার পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

পরিবেশবাদীদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কেউ কেউ গণ্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর-কে। তিনি ২০০৬ সালে বলেছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কুফলস্বরূপ পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার কারণে, ২০১৩ সালের মধ্যে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হবে।

পরে যখন দেখা গেল, উক্ত সালের মধ্যে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, তখন গোরের অফিস থেকে বলা হলো, ওটা ছিল একটা আনুমানিক হিসাব। গ্রেটা থানবার্গও এ ধরনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন। তা ছাড়া, তিনি তাঁর টুইটে ২০১৮ সালে যা লিখেছিলেন, সেটা ছিল সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের কথা, তাঁর নিজের কথা নয়। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধবাদীরা এ কথা মানবেন কেন? তাঁরা সমালোচনার তীর ছুড়েই যাচ্ছেন।

গ্রেটা সমালোচিত হচ্ছেন পরিবেশসংশ্লিষ্ট টুইট ডিলিট করে। আর, এদিকে, পরিবেশসংশ্লিষ্ট একটি মন্তব্য করে বলতে গেলে বিপদেই পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম। তাঁর মন্তব্যে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী নেই, কিন্তু চীন আছে, চীনের প্রশংসা আছে। মার্কিন মন্ত্রীর চীন-বন্দনা! সমালোচনার তীর তো তাঁর দিকে আসবেই! এ অনিবার্য।

সম্প্রতি মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী টেক্সাসের ‘সাউথ বাই সাউথওযেস্ট’ শীর্ষক এক উৎসবে, সাংবাদিক ওয়াজাহাত আলিকে বলেন, চীন পরিবেশ ইস্যুতে বেশ স্পর্শকাতর। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল মোকাবিলায় এবং এ ব্যাপারে নিজের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে, প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে।…আমরা সবাই এ ইস্যুতে চীনের কাছ থেকে শিখতে পারি।

মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রীর বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষেপেছেন অনেকে। তাঁরা কোনো অবস্থাতেই চীনের প্রশংসা শুনতে রাজি নন। এই দলে আছেন টেক্সাসের রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি অস্টিন ফ্লুগার। তিনি বলেছেন, জ্বালানিমন্ত্রী নিজের দেশের জ্বালানি-উৎপাদকদের বিরুদ্ধে গিয়ে, চীনের পক্ষ নিয়েছেন।

ওদিকে, আইওয়া অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেস প্রতিনিধি অ্যাশলে হিনসন জ্বালানিমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, ‘চীন হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ দূষণকারী’ এবং বাইডেন প্রশাসনের উচিত ‘চীনের মিথ্যাচারকে সত্য বলে ধরে না-নেওয়া ও দেশটিকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা’।

এ কথা সত্য যে, চীন বিশ্বের যে-কোনো দেশের চেয়ে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে এবং গেল বছর দেশটি কয়লা উত্পাদনের ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কিন্তু, পাশাপাশি এ কথাও সত্য যে, চীন পরিষ্কার জ্বালানি খাতে ৫৪৬০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগও করেছে।

এ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ চীনের মাত্র ৪ ভাগের ১ ভাগ! তা ছাড়া, ২০২২ সালে বিশ্বে যত নিম্নকার্বন উৎপাদন হয়েছে, তার ৯০ শতাংশই হয়েছে চীনে। এ কিন্তু ‘মিথ্যাচার’ নয়! গত জানুয়ারিতে রীতিমতো গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ (Bloomberg)।

বস্তুত, বড় দেশ হিসেবে চীন কখনোই নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যায় না বা যাওয়ার চেষ্টা করে না। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাকে চীন গোটা বিশ্বের সমস্যা হিসেবেই দেখে, গ্রেটার সমালোচকদের মতো একে ‘ধাপ্পাবাজি’ মনে করে না। চীনা নেতারা প্রায়ই বলেন, মানবজাতির জন্য একটাই মাত্র বাসযোগ্য পৃথিবী আছে, তাই এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে, এর পরিবেশকে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত রাখতে হবে। আর এ কারণেই, চীন জলবায়ু পরিবর্তনসংশ্লিষ্ট দুটি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এর মধ্যে একটির কেতাবি নাম হচ্ছে ‘কার্বন শিখর’ ও অন্যটির ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’।

চীন ‘কার্বন শিখর’ (Carbon peak) লক্ষ্য অর্জন করতে চায় ২০৩০ সালের মধ্যে। সহজভাবে বললে ‘কার্বন শিখর’ হচ্ছে এই: ২০৩০ সালের আগ পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ কমতেও পারে, বাড়তেও পারে। কিন্তু ২০৩০ সালের পর কার্বন নিঃসরণ শুধু কমবে, বাড়বে না।

অন্যদিকে, দেশটি ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’ (Carbon neutrality)-র লক্ষ্য অর্জন করতে চায় ২০৬০ সালের মধ্যে। সহজভাবে বললে ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’ হচ্ছে: ২০৬০ সালের পর চীন যতটুকু কার্বন নিঃসরণ করবে, ঠিক ততটুকু কার্বন প্রকৃতি থেকে শুষেও নেবে।

মনে রাখতে হবে, এই দুটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চীনকে কেউ বাধ্য করেনি, চীন নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই এটা করেছে। বলা চলে, চীন নিজের ওপর একধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে নিয়েছে। না, এটা শুধু বিশ্বের জন্য নয়, নিজের জন্যও। কারণ, চীনারা বিশ্বাস করে, বিশ্ব থেকে চীন আলাদা নয়।

jagonews24চীনের সিনচিয়াংয়ের হামি অঞ্চলে একটি বায়ু ও ফটোভোল্টাইক পাওয়ার প্লান্ট

বিশ্ব ভালো থাকলে চীনও ভালো থাকবে, আর বিশ্ব খারাপ থাকলে চীনও খারাপ থাকবে। কথাটা উল্টাভাবেও সত্য। তা ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশ ভোগ করছে না বা ভবিষ্যতেও করবে না, গোটা বিশ্বকেই এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে ও হবে।

মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে চীনের প্রশংসা করে যা-বলেছেন, তা ঠিকই বলেছেন। অন্যভাবে বললে, নিজের অজান্তেই হয়তো তিনি সত্য বলে ফেলেছেন। একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি জানেন, চীন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শুধু মৌখিক প্রতিশ্রুতিই দিয়ে বসে নেই, বরং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে।

আর, চীনা সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে যারা অবহিত, তাঁরা জানেন যে, এ দেশে সাধারণত অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ শুরু করা হয় না। চীনারা যখন যে লক্ষ্য ঠিক করে, তা চিন্তাভাবনা করেই ঠিক করে, এবং তা অর্জনে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। ২০২০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হতদারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে তা অর্জন এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ।

বস্তুত, চীন যত কার্বন নিঃসরণ করে, তার ৪০ শতাংশই হয় বিদ্যুত উৎপাদন শিল্পে। সরকার এই শিল্পকে কার্বন-নিরপেক্ষ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন যানবাহনকে ইভি-তে (বিদ্যুতচালিত গাড়িতে) রূপান্তরের প্রক্রিয়া। যদি বিদ্যুত উৎপাদন শিল্প পুরোপুরি কার্বন-নিরপেক্ষ হয় (অন্যভাবে বললে, এ শিল্পে কয়লার ব্যবহার যদি শূন্যে নেমে আসে) এবং পরিবহন শিল্পে প্রচলিত জ্বালানির পরিবর্তে বিদ্যুতের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, তবে চীন কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জনের পথে ৪০ শতাংশ পথ এগিয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন এ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। সম্ভবত, মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী তাদের একজন।

লেখক: বার্তাসম্পাদক, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)।
[email protected]

এইচআর/জিকেএস



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews