দক্ষিণ এশিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ সংঘাত শুরু হয় পেহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে। পাল্টাপাল্টি ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, সীমান্তে গোলাবর্ষণে ‍দুই দেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়। অবশেষে চার দিনের সংঘাত শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়।

সংঘাতে দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতি হলেও একে বিজয় হিসেবেই দেখছে পাকিস্তান। এ উপলক্ষে সারা দেশে সেনাবাহিনীর পক্ষে র‌্যালি, মিছিল ও পতাকা মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের সাথে সামরিক উত্তেজনা কিভাবে দেশটিতে তাদের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করেছে তা বিস্তারিতভাবে এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

ভারতের সাথে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ প্রভাব আরো স্পষ্ট হয়েছে- পাকিস্তানের জনগণের তাদের সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সমর্থনের পেছনে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষা করার বিষয়টি মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের গবেষণা সংস্থা গ্যালাপ পাকিস্তানের ১১ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৫০০ জনেরও বেশি উত্তরদাতার মধ্যে ৯৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন, পাকিস্তান সংঘাতে জয়লাভ করেছে।

প্রাথমিক তথ্য ও জরিপে দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ সামরিক বাহিনীর কর্মক্ষমতাকে ‘খুব ভালো’ বলে অভিহিত করেছেন, যেখানে এক শতাংশেরও কম অসম্মতি প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ৯২ শতাংশ বলেছেন, সংঘাতের ফলে সেনাবাহিনী সম্পর্কে তাদের মতামতের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

‘কালো দিবস’ থেকে ‘ধর্মীয় যুদ্ধের দিন’ পর্যন্ত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার একদিন পর ১১ মে পাকিস্তানের শহরগুলোতে মানুষ গাড়ি ও মোটরবাইকে চড়ে, হর্ন বাজিয়ে এবং দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে উদযাপন করে। তারা জাতীয় পতাকা ও সেনাবাহিনীর, বিশেষ করে সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ অসিম মুনিরের প্রশংসা করে পোস্টার বহন করে। চারদিকে ছিল আনন্দের আমেজ ও স্বস্তি।

এর আগে, ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর ৭ মে ভারত পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে ১১ জন সৈন্য এবং বেশ কয়েকজন শিশু সহ কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়।

পরের তিন দিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশ একে অপরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও কামান নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে, ফলে এ সংঘাত একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর পাকিস্তান সরকার ১০ মে ‘ধর্মীয় যুদ্ধের দিন’ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু দুই বছর আগে ৯ মে ২০২৩ সালের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।

ওই দিনটিকে সরকার ‘কালো দিবস’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল। কারণ ইমরান খানের সমর্থকরা সরকারি ও বেসরকারি অবকাঠামোগুলোতে সহিংসতা চালিয়েছিল, বিশেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে। লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স, লাহোরে একজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডারের বাসভবন, যা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, সাথে আরো বেশ কয়েকটি স্থাপনা ও স্মৃতিস্তম্ভও।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকরা তাদের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেন। ইমরান খানকে দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আটক করা হয়। যদিও তাকে ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মুক্তি দেয়া হয়, তবুও এ বিক্ষোভ সামরিক বাহিনীর আধিপত্যের প্রতি এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়।

ভারতের সাথে যুদ্ধবিরতির ছয় দিন পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে ‘সামরিক ইতিহাসের একটি সোনালী অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেন।

শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধে চালানো ‘বুনিয়ান মারসুস’ অভিযানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল, গর্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ পাকিস্তানি জাতিরও বিজয়। সমগ্র জাতি সীসার তৈরি প্রাচীরের মতো সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।’

কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যিনি ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন, তিনিও তার আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, সেনাবাহিনীর আগের চেয়েও বেশি জনসমর্থনের প্রয়োজন।

‘শ্রদ্ধা ভয়ে পরিণত হয়েছে’

১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর দেশটির সামরিক বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনী, সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রভাষক মারিয়া রশিদ বলেন, সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ‘পাকিস্তানের সীমান্তের পাশাপাশি এর আদর্শিক সীমান্তেরও ত্রাণকর্তা ও রক্ষক’ হিসেবে চিত্রিত করে আসছে।

চারটি সামরিক অভ্যুত্থান ও দশকের পর দশক ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শাসনের মাধ্যমে এ আধিপত্য সুদৃঢ় হয়েছে। ছয় বছরের দীর্ঘ মেয়াদ শেষে অবসর নেয়ার আগে পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ২০২২ সালে তার বিদায়ী ভাষণে স্বীকার করেছিলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কয়েক দশক ধরে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে আসছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে সেনাবাহিনী পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবে।

তবুও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনসাধারণের ওপর সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন দেখা গেছে।

ক্রিকেট তারকা থেকে সমাজসেবী রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান ২০১৮ সালে যখন প্রথম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি বলেছিলেন, সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রয়েছে।

কিন্তু তার আগের পূর্বসূরীদের মতো সেই সম্পর্কও তিক্ত হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানকে সংসদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তিনি প্রকাশ্যে পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রকে ওপর তাকে অপসারণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন। তবে সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বারবার এ অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে জেনারেল মুনির নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকেই সেনাবাহিনীর সাথে তার সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। ইমরান খান ও তার দল পিটিআই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করে, যার ফলে তার ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ কয়েক ডজন ফৌজদারি মামলা হয়।

২০২৩ সালের ৯ মে সংঘটিত দাঙ্গা পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের সূত্রপাত করে। পুলিশ হাজার হাজার দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করে, যার মধ্যে ১০০ জনেরও বেশিকে পরে সামরিক আদালতে বিচার করা হয়। তাদের অনেকেই কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

প্রভাষক মারিয়া রশিদ বলেন, যদিও সেনাবাহিনী আগেও দমন-পীড়নের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে, তবে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পর যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তা নজিরবিহীন।

‘অপরিহার্য সামরিক বাহিনী’

মূলত কাশ্মির নিয়ে ভারতের সাথে ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ ও ১৯৯৯ সালে যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় ভূমিকা গঠিত হয়েছে। কাশ্মিরকে উভয় দেশই সম্পূর্ণ নিজেদের বলে দাবি করলেও দেশ দু’টি এর কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুহাম্মদ বদর আলমের মতে, ভারতের সৃষ্ট চিরস্থায়ী হুমকি ‘একটি মৌলিক কারণ’, যা সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের সমাজ, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থায় একটি বিশিষ্ট অবস্থান দিয়েছে। ভারত ১৯৯৯ সালে তাদের শেষ যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও উগ্রবাদ উস্কে দেয়ার অভিযোগ করে আসছে।

পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কাশ্মিরিদের জন্য কেবল নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে।

গত এক শতাব্দীর চতুর্থাংশে ভারতের অভ্যন্তরে একাধিক হামলা হয়েছে, বিশেষ করে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পরিকল্পনায় হামলাটি করা হয়েছিল।

ইসলামাবাদ স্বীকার করেছে, হামলাকারীরা পাকিস্তানি হতে পারে। তবে দেশটি ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলে, মুম্বাই হামলায় তার সরকার বা সেনাবাহিনীর কোনো ভূমিকা ছিল না।

‘ধারণার যুদ্ধ?’

সাম্প্রতিক চার দিনের সংঘাত সম্পর্কে উভয়পক্ষই পরস্পরবিরোধী দাবি করেছে। পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতির তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়েছে। ট্রাম্প কাশ্মির বিরোধের সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে ভারত জোর দিয়ে বলেছে, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কেবল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।

ইসলামাবাদভিত্তিক রাজনৈতিক ভাষ্যকার আরিফা নূর বলেছেন, সাধারণত প্রতিবেশী দেশের সাথে যখন সংঘর্ষ হয় তখন সেই দেশের নাগরিকদের রাষ্ট্র ও তার সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থা বৃদ্ধি পায় এবং এটি অন্য যেকোনো দেশের মতো পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও সত্য।

তিনি আরো বলেন, যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জনগণের সমর্থন উপভোগ করছে, তবে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এর প্রভাব কতটা তা এখনো চূড়ান্তভাবে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে থাকা পাঞ্জাব থেকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানের মতো প্রদেশগুলো এটি ভিন্নভাবে দেখতে পারে।’

খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান উভয়ই ধারাবাহিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। সমালোচকরা সেখানকার সেনাবাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জোরপূর্বক গুমের জন্য অভিযুক্ত করে। তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

জনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বগতি কি স্থায়ী হবে?

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক উত্তেজনার সময়ে জনগণের সমর্থন বৃদ্ধি পেলেও দেশের নেতা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনসমর্থন সাধারণত ক্ষণস্থায়ী হয়।

নিউ ইয়র্কের আলবানি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক নিলুফার সিদ্দিকী আল জাজিরাকে বলেন, বর্তমান সংকটের কারণে সামরিক বাহিনী কতদিন সমর্থন পাবে তা স্পষ্ট নয়। এর অনেকটাই নির্ভর করতে পারে ‘ভারতের বাগাড়ম্বরে’র ওপর। এছাড়া সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচক পিটিআই ভবিষ্যতে কী ধরণের বাগাড়ম্বরপূর্ণ আচরণ করবে তার ওপরও এটি নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে সম্পৃক্ততা রয়েছে সে বিষয়ে আরো কথা বলতে হবে। কিন্তু এটাও স্বীকার করতে হবে, সীমান্তে তাদের কর্মক্ষমতা এ মুহূর্তে প্রশংসনীয়।’

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুহাম্মদ বদর আলম বলেন, ভারতের সাথে সংকট থেকে সেনাবাহিনীরও শিক্ষা নেয়ার আছে।

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে বুঝতে হবে যে সাফল্যের জন্য জনসমর্থন প্রয়োজন। আমরা ভারতের সাথে চিরস্থায়ী যুদ্ধে থাকতে পারি না। আমাদের অর্থনীতি ঠিক করতে হবে নাহলে এটি একটি অস্তিত্বের সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews