একটি চালের চেয়েও ছোট পেসমেকার তৈরি করলেন নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষকদের দাবি এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পেসমেকার। চওড়ায় এটি ১.৮ মিমি, লম্বায় ৩.৫ মিমি, এবং ১ মিমি পুরু এই পেসমেকার আকারে একটি চালের দানার থেকেও ছোট।

আকারে ছোট হলেও একটি পূর্ণ আকারের পেসমেকারের মত সমান মাত্রার সমান দক্ষতার স্টিমুলেশন উৎপাদনে সক্ষম এই পেসমেকারটি। পেসমেকারটি তৈরি করা হয়েছে হৃদযন্ত্রে ব্যবহারের জন্য।

যারা এটি তৈরি করেছেন তাদের মতে এই পেসমেকারটি উপযুক্ত হবে সদ্যোজাত শিশুর কোমল হৃদযন্ত্রের জন্য। যাদের জন্মগত কোনো হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা রয়েছে।

তারা বলেন, ‘শিশুদের হার্ট সার্জারির ক্ষেত্রে চিকিৎসা জগতে এই ধরনের পেসমেকারের একটা প্রয়োজনীয়তা বা চাহিদা ছিল। আর সেখানে পেসমেকারের আকার ছোট করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিল এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল। শরীরের উপর এই যন্ত্রের লোড আকারে যত কম হবে তত ভালো হবে’।

বর্তমানে অস্থায়ী পেসমেকার বসানোর জন্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের পেশিতে ইলেক্ট্রোডগুলো সেলাই করে দেওয়া হয় এবং রোগীর বুকে একটি পাওয়ারড ডিভাইস বসিয়ে তারের সাহায্যে ইলেকট্রোডগুলো সংযুক্ত করা থাকে। যখন এই যন্ত্রাংশের আর প্রয়োজন থাকে না, চিকিৎসকেরা এই তারগুলো খুলে নেন যার ফলে অনেক সময় বিপদ দেখা যায়।

কিন্তু এই ছোট্ট পেসমেকারে কোনো তার সংযোগ নেই। এটি শরীরে একেবারে মিশে যাবে যখন এটি আর দরকার পড়বে না। একটি গ্যালভানিক কোশের ক্রিয়ার উপরে এই ছোট্ট পেসমেকারটি কাজ করে। এটি এক ধরনের সাধারণ ব্যাটারি যা রাসায়নিক শক্তিকে তড়িৎশক্তিতে পরিণত করে।

এটি যখন আশপাশের বায়োফ্লুইডের সংস্পর্শে আসে, এই ইলেকট্রোড ব্যাটারিতে রূপ নেয়। আর এর ফলেই তড়িৎশক্তি উৎপন্ন হয় যা হৃদযন্ত্রে স্টিমুলেশন পাঠায়।

যদি কোনো রোগীর হৃদস্পন্দন নির্দিষ্ট হারের থেকেও কমে যায়, এই ডিভাইস তা নজরে আনে এবং একটি নির্গমনকারী ডায়োডকে সক্রিয় করে দেয় নিজে থেকেই। এরপরে আলো জ্বলতে থাকে, নিভতে থাকে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে, যা স্বাভাবিক হৃদস্পন্দনকে আবার ফিরিয়ে আনে।

আরও পড়ুন

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

কেএসকে/এমএস



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews