নড়াইলে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম ছায়েদুর রহমান এ নির্দেশনা জারি করেন। একইসঙ্গে এ নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে ঈদের ছুটির পর জেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে সমাবেশ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের লিখিত নির্দেশনা পাঠায় জেলা শিক্ষা অফিস। শনিবার প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ওই চিঠি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষিদ্ধ হলেও তারা গোপনে মোবাইল আনছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর এ ধরনের পোস্ট নিয়ে চরম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠান দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়। এমতাবস্থায় সুধী সমাজের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
এতে আরও বলা হয়েছে, নির্দেশনাটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের তৎপর থাকতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ তল্লাশি করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মুঠোফোন পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি শনিবার প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম ছায়েদুর রহমান বলেন, নড়াইলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ ও সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে কিছু ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বয়সে কিছু না বুঝে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করছে, শেয়ার দিচ্ছে, লাইক দিচ্ছে। যে কারণে সমাজে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও শনিবার জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে তারা এদিন জমা দেয়নি। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, পুলিশ প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির শনিবার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা থাকলেও এটি এখনো পাইনি।