২০১৬ সালে ইলন মাস্ক ও আরও কিছু প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নিউরালিংক।
২০১৬ সালে ইলন মাস্ক ও আরও কিছু প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নিউরালিংক।
যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের মাথায় ব্রেইন চিপ বসাতে চাইছে ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ নির্মাতা কোম্পানি নিউরালিংক।
কোম্পানিটি বলেছে, ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হসপিটাল ট্রাস্ট’ ও ‘নিউক্যাসল হসপিটাল’-এর সঙ্গে মিলে ব্রিটেনে একটি ক্লিনিকাল গবেষণা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
যুক্তরাজ্যের যেসব নাগরিক ‘মোটর নিউরন ডিজিজ’ বা মেরুদণ্ডে আঘাতের কারণে পক্ষাঘাতে ভুগছেন তাদের এ ব্রেইন চিপ বসানোর জন্য পরীক্ষায় অংশ নিতে নাম নিবন্ধনের অনুরোধ জানিয়েছে নিউরালিংক।
মানুষের মাথার ভেতরে সেলাই করে বসানো হয় কোম্পানিটির এসব ব্রেইন চিপ এবং তা মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
কোম্পানিটির দাবি, এরইমধ্যে গুরুতর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত পাঁচজন ব্যক্তি নিজেদের চিন্তার মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে নিউরালিংকের এই ব্রেইন চিপ সিস্টেম ব্যবহার করেছেন।
নিউরালিংক একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করে, যেখানে আগ্রহীরা ‘পেশেন্ট রেজিস্ট্রি’ নামের এক তালিকায় নাম লিখিয়ে ট্রায়াল বা গবেষণার জন্য বিবেচিত হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।
২০১৬ সালে ইলন মাস্ক ও আরও কিছু প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নিউরালিংক। তারপর থেকেই কোম্পানিটি ‘ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেইস’ চিপ তৈরি করেছে, যা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রাথমিক এসব পরীক্ষা সবই পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষদের ওপর করেছে নিউরালিংক। তবে মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এই চিপ ব্যবহার করে মানুষ আরও সাধারণভাবে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে, এমনকি সরাসরি মস্তিষ্কে তথ্য পাঠানোও সম্ভব হতে পারে।
শুরুর দিকে কিছু পরীক্ষায় ব্যবহৃত কিছু প্রাইমেট বা বানরজাতীয় প্রাণী ও অন্যান্য প্রাণীর প্রতি আচরণের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিল মার্কিন ধনকুবের মাস্কের এ কোম্পানিটি।
নিজেদের প্রাথমিক গবেষণা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে নিউরালিংক, যার অংশ হিসেবে কোম্পানিটি কানাডা ও যুক্তরাজ্যে কাজ শুরু করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।