একাদশ জাতীয় সংসদের ৭১ জন সংসদ সদস্য মনোনয়ন পাননি, দলের মনোনয়ন বোর্ড যাঁদের যোগ্য মনে করেনি। অথচ তাঁদেরই আবার উৎসাহিত করা হচ্ছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব মনে করছে, নির্বাচনে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী যেসব দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। ফলে একতরফা ‘গোল’ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের এই নীতি বুমেরাংও হতে পারে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে যদি একই দলের একাধিক প্রার্থী দাঁড় করানো হয়, তাহলে তো দলীয় শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। অনেক স্থানে এর আলামতও শুরু হয়ে গেছে। সারা দেশের অসংখ্য ঘটনা থেকে এখানে দুটি উল্লেখ করছি:
এক. কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদকে হুমকি দিয়ে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার বলেন, ‘আবু কালাম বিষফোড়া হইলেও আমরার উপকার করে দিছে। এখানে আছে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (বর্তমান সংসদ সদস্য)। বাঘের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা আছে, কিন্তু রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা কারও নেই। রাজী মোহাম্মদ তো পরের বিষয়, তুই আগে আমরার থাবা থেকে বাঁচ! আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম। আরে কম্পিটিশন তো দূরের কথা, জামানত থাকত না।’
মঙ্গলবার দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়ন যুবলীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।