রসুন অ্যালিসিন নামক একটি রাসায়নিক তৈরি করে। এটিই রসুনকে দারুণ কিছু গুণ প্রদান করে। অ্যালিসিন রসুনের গন্ধও তৈরি করে। প্রাকৃতিক এই সুপারফুড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে হৃদরোগের ঝুঁকি পর্যন্ত কমাতে পারে। রসুন কয়েক শতাব্দী ধরে ঔষধি গুণাবলীর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন রাখলে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাগুলোকে এড়িয়ে চলতে পারবেন।
- রসুনে শক্তিশালী ঔষধি গুণসম্পন্ন যৌগ রয়েছে। রসুনের সালফার যৌগগুলো পরিপাকতন্ত্র থেকে শরীরে প্রবেশ ও শক্তিশালী জৈবিক প্রভাব ফেলে।
- কাঁচা রসুন রক্তচাপ কমানোর পাসাপাস স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন খাওয়া সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক উভয় রক্তচাপ কমাতে পারে, যা সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- রসুনে ক্যালোরি কম এবং ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ। এতে অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানেরও পরিমাণ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন রসুন খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়।
- ঘন ঘন সর্দি ও সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত? কাঁচা রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরকে অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা বলছে, রসুনে থাকা অ্যালিসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখে। নিয়মিত এটি খেলে সর্দি, ফ্লু এবং সংক্রমণের তীব্রতা এবং প্রবণতা কমে।
- আমাদের শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে বিষমুক্ত করে রসুন। কাঁচা রসুন ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিয়ে লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে সালফার যৌগও রয়েছে যা ভারী ধাতুর বিষাক্ততা থেকে রক্ষা করে, লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলোর ক্ষতি কমায়।
- এইচডিএল কোলেস্টেরল (ভালো কোলেস্টেরল) বৃদ্ধির সাথে সাথে রসুন মোট কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কোলেস্টেরল (খারাপ কোলেস্টেরল) হ্রাস করে।
- রসুনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষের ক্ষতি এবং বার্ধক্যজনিত জ্ঞানীয় অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি আলঝাইমার রোগ এবং অন্যান্য ধরনের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
- হজমে সাহায্য করে রসুন। এটি পাচক এনজাইম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকারক অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন