একটা সময় আমাকে ইনস্টাগ্রামের নেশায় পেয়ে বসেছিল। শুটিং সেটে এসেই সারাক্ষণ ফোন নিয়ে বসে থাকতাম। কে আমাকে নিয়ে কী বলছে, কী ভাবছে, এসবে বুঁদ হয়ে থাকতাম। ঠিক করলাম, আমার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটা মুছে ফেলব। কারণ, মনে হচ্ছিল নিজের একটা ‘মিথ্যা সংস্করণের’ (ফলস ভার্সন) প্রতি খুব বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছি। ঘোষণা দিয়ে দিলাম, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিচ্ছি। কারণ আমার মনে হয়, এতে করে আমার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।’
কিন্তু এরপর যা হলো, তা খুবই দুঃখজনক। সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবরটাকে খুবই নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করল। ভুল দিকে নিয়ে গেল। তারা বলল, টম হল্যান্ড মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। অথচ তারা বলতে পারত, ‘বাহ, টম হল্যান্ডও মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্নশীল, তাহলে আপনি কেন নন?’
সংবাদমাধ্যমগুলো বলতে শুরু করল, ‘দেখো! যাকে তোমরা সৌভাগ্যবান, নিখুঁত, সুখী মানুষ হিসেবে ধরে নাও, সে কেমন ভেঙে পড়েছে!’ এটা তো সাংবাদিকতা নয়। যাঁদের মানসিক সহায়তা প্রয়োজন, এসব দেখে তাঁরা আরও নিরাশ হবেন।
দ্য ক্রাউডেড রুম সিরিজেও আমরা এটাই বলতে চেয়েছি। সাহায্য চাওয়াটাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। কেউ যদি খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়; যদি কোনো বন্ধু, শিক্ষক, মা-বাবা কিংবা মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাকারীর কাছে গিয়ে বলে, ‘আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে?’ তার পিঠ চাপড়ে দেওয়া উচিত। বলা উচিত, ‘নিশ্চয়ই। আমি তোমার সঙ্গে আছি। আমি খুব খুশি যে তুমি সাহায্য চেয়েছ।’
সংবাদমাধ্যমের এই নেতিবাচক প্রচার আমাকে দ্য ক্রাউডেড রুম সিরিজটা করতে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। মনে মনে বলেছি, তুমি যদি আমার ব্যক্তিগত মতটা গ্রহণ করতে না পারো, অন্তত আমার অভিনয় থেকে বার্তাটা নাও। (সংক্ষেপিত)