বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন দেখি, তখন আমাদের সহমত জন্মায়। সেটিতে প্রধানমন্ত্রী রিয়েক্ট করেন। রিয়েক্ট তো করবেনই। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে স্বাধীনতা জমা দিয়েছেন, জিম্মি করে দিয়েছেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অসুস্থ ও নিহত নেতাকর্মীদের আশু রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী প্রচার দল কেন্দ্রীয় কমিটি এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনি যদি সত্যিকারের এ দেশের নেত্রী হয়ে থাকেন, দেশের কলকারখানা প্রমোট করেন, আজ যে অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে (ভারত), সেটাকে রুখতে হলে আপনি আপনার ভারতীয় শাড়ি পোড়ান।’
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি পুলিশি রাষ্ট্র, পুলিশি পরিবেষ্ঠিত রাষ্ট্র। দেশে গণমাধ্যমও আছে সেই সঙ্গে বাকশালও আছে ভিন্নভাবে। আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও দিনকাল বন্ধ করেছে এই সরকার। বিরোধীকণ্ঠ রোধ করতে বাকশালের মতো কাজ করছে এই সরকার। অনেক মিডিয়া থাকলেও সত্য, ন্যায় সংগত কথা বলতে গেলেই আপনি নিরুদ্দেশ, না হয় আজীবনের জন্য কারাগারে থাকতে হবে।’
রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণ করতে হলে আগে তার সাংস্কৃতিক কালচার হরণ করলে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে পার্শ্ববর্তী দলের সিনেমা দিয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়ছে।
বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এ সময় দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সদস্য ইশরাক হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, প্রচারদলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমা আক্তার স্বপ্না, আসাদুজ্জামান আকাশ, সহ-সাংগঠনিক ও যুক্তরাজ্য প্রচারদলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/ইএ/এএসএম