কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোহাম্মদ ইসমাইলকে প্রধান করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। মামলায় মাদকবিরোধী অভিযানের সময় সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর টেকনাফ বিশেষ জোন। বুধবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিদফতরের টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলমগীরের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ ঘটনায় আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়। এই অভিযানের কিছুক্ষণ পর জামায়াত নেতা ইসমাইলের বাড়িতে আরও কিছু ইয়াবা মজুত আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যান অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তখন ঈসমাইল অভিযানে বাধা দেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালান। এতে অভিযানিক টিমের তিন সদস্য আহত হন। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান।
ঘটনার দিন অভিযুক্ত জামায়াত নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ আনেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জামায়াতের টেকনাফ পৌরসভার সহসভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চার জন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন। ওই কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা দ্রুত চলে যান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে কারা ভাঙচুর করেছে, তা আমার জানা নেই। মামলার বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করবো।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হামলার ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে। এ ঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।