কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত বলে, ‘সকাল সাড়ে ৮টায় এসেছি। কোনো ক্লাস হয়নি। টিচাররা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ভালো–মন্দ খোঁজখবর নিয়েছেন। পরে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়েছি। এখন বাসায় চলে যাচ্ছি।’
মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল প্রথম আলোকে বলেন, আজ কলেজ শাখা খুলেছে, তবে পাঠদান কার্যক্রম হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা শোক ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় কলেজ শাখার শিক্ষার্থীরা তিন ধাপে (সকাল ৯টা, সাড়ে ১০টা ও দুপুর ১২টা) শোক ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাইলস্টোনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামালউদ্দীন মিলনায়তনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় ধাপের শোক ও দোয়া অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। পুরো মিলনায়তনে শিক্ষার্থীতে পরিপূর্ণ। তাদের মধ্যে শোকের আবহ বিরাজ করছে।
অনুষ্ঠানে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল (অব.) নুরন নবী বলেন, ‘যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল, যে ২৭টি ছোট শিশু নিঃশেষ হয়ে গেল, কীভাবে এটা আমরা মেনে নিতে পারি? আমাদের দুজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। পাঁচজন শিক্ষক এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। সঙ্গে আছে আরও ৩৩ জন শিক্ষার্থী। কী সান্ত্বনা দেব আমি এদের বাবা-মায়েদের? মাইলস্টোনের এক শিক্ষক দম্পতি দুর্ঘটনায় তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন। এই শোক কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’