কিন্তু এটা কি বাস্তব চিত্র? সংক্ষেপে উত্তর হলো, না।

যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ধারাবাহিকভাবে তুরস্ক-ইসরায়েল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুর্বল করেছেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কমিয়ে দিয়েছেন, ইসরায়েলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিমান ভ্রমণ করতে দেননি, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তেল আবিবের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ দিয়েছেন। তুরস্কের সেনাবাহিনী একদিন ফিলিস্তিনি জনগণের সহযোগিতায় এগিয়ে যাবে, এমন জনতুষ্টিবাদী বক্তব্যও দিয়েছেন। এ সবকিছুর পরও ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্ক সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই।

ইতিহাসের বাস্তবতা হলো, তুরস্ক ও ইসরায়েল দুটি দেশই মার্কিন মিত্র। দুই পক্ষ কখনোই পরস্পরের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়ায়নি। তুরস্কের এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চারে জড়ানোর কোনো খায়েশ নেই। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যখন ইরান ও ইসরায়েল একটা যুদ্ধের মধ্যে আছে এবং গাজায় বিপর্যয় ঘটে গেছে।

সিরিয়ায় তুরস্কের উদ্দেশ্য খুবই পরিষ্কার। সিরিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ক্রীড়ানকের সঙ্গে প্রকাশ্যে ও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছে।

প্রথমত, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, আঙ্কারা চায় একটা স্থিতিশীল সিরিয়া, যেটা অন্য কোনো দেশের ওপর হুমকি তৈরি করবে না।

দ্বিতীয়ত, সিরিয়াকে একটি গণতান্ত্রিক, এককেন্দ্রিক ও বেসামরিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক। সব সংঘ্যালঘু ও জাতিসত্তাকে নিয়ে হতে হবে নতুন সিরিয়া। একই সঙ্গে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) যেন ক্ষুদ্ররাষ্ট্র গঠন করতে না পারে, সেটা ঠেকাতে চায় তুরস্ক।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews