ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী মন্ত্রী ও আমলাদের সুপারিশে নেওয়া আটটি স্থলবন্দরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় অপ্রয়োজনীয় এসব স্থলবন্দর তৈরি করেছেন। এর জন্য শত শত কোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এসব স্থলবন্দর দিয়ে আশানুরূপ কোনো বাণিজ্য হয় না। রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীদের ইচ্ছাপূরণের এসব স্থলবন্দর রাখা হবে, নাকি বাতিল করা হবে—সেই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
যেসব স্থলবন্দরের বিষয়ে সরকার পর্যালোচনা শুরু করেছে সেগুলো হলো শেরপুরের নাকুগাঁও, ময়মনসিংহের গোবরাকূরা-কড়ইতলি; জামালপুলের ধানুয়াকামালপুর, হবিগঞ্জের বাল্লা, দিনাজপুরের বিরল, নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ ও রাঙামাটির তেগামুখ। এসব স্থলবন্দরের কোনোটিতে কার্যক্রম নেই। আবার কোনোটিতে কার্যক্রম থাকলেও তা অলাভজনক।
দেশজুড়ে ২৪টি স্থলবন্দর থাকলেও পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে ১২টির কার্যক্রম চালু আছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক) এই বন্দরগুলো পরিচালনা করে। পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় বাকিগুলোর কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। মূলত পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্য সহজ করার জন্য স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়।