আঞ্চলিক জোট সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে বিরল এক সফরে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে তাকে বহনকারী বিমানটি। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আয়োজিত নৈশভোজ এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই জয়শঙ্করের।
এর আগে পাকিস্তানে ভারতের কোনো মন্ত্রীর সর্বশেষ সফর হয়েছিল ২০১৫ সালে। ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সফর ছিল সেটি। সেই সফরের প্রায় ১০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেন ভারতের কোনো মন্ত্রী।
ভারতের কূটনৈতিক মহলের মতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে পাকিস্তানে পাঠানো মোদি সরকারের তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি একটি বক্তৃতায় জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, যে কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতোই, পাকিস্তানের সঙ্গে সহজ সম্পর্ক ভারত অবশ্যই চায়। কিন্তু তা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস থেকে চোখ ফিরিয়ে নয়। তবে এই সফরে শুধু এসসিওর সম্মেলনেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠক হবে না বলে আগেই জানান তিনি।
উপমহাদেশের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক বরাবরই বৈরী। তবে এই সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার হামলার পর থেকে। সেই হামলায় অন্তত ৪০ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই হামলার পর প্রথমে পাকিস্তানের বালাকোটে ঝটিকা অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। তার পর ওই বছরই আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিল করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এ পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারত তা আমলে না নেওয়ায় চরম তিক্ততায় পৌঁছায় দু’দেশের সম্পর্ক।