একটা রিপাবলিকে প্রত্যেক নাগরিক যেহেতু সমান, তাই অনুচ্ছেদ ২৯ (১) এবং ২৯ (২)–এ যৌক্তিকভাবেই ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে’ সবার সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে, যেখানে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ কিংবা জন্মস্থানের ভিত্তিতে কোনো রকম বৈষম্য না করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রটি কেমন হবে, সে প্রসঙ্গে মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আগে সাম্যের (ইংরেজি পাঠে ‘ইকুয়ালিটি’) কথা বলেছিলাম।

তবে একটা রাষ্ট্র যদি মানবিক হয়ে উঠতে চায়, তাহলে তাকে শুধু সাম্য (ইকুয়ালিটি) নিশ্চিত করলেই চলবে না, নিশ্চিত করা উচিত ন্যায্যতাও (ইকুইটি)। যে মানুষটি জন্মসহ নানা কারণে পিছিয়ে পড়ে, সেই মানুষটির অনুকূলে রাষ্ট্রের কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে পারে। এ ছাড়া বিশেষ কিছু পেশার ক্ষেত্রে ধর্ম কিংবা কোনো লিঙ্গের অনুকূলে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সে কারণেই ২৯ (৩)–এ কিছু ব্যতিক্রম এর কথা বলা হয়েছে। আমাদের আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ হচ্ছে ২৯ (৩) (ক)।

এই অনুচ্ছেদে নাগরিকদের অনগ্রসর অংশকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিশেষ বিধান প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। তবে আমাদের খুব মন দিয়ে খেয়াল করতে হবে ২৯–এর ৩–এর শেষে গিয়ে লেখা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’ এই শব্দগুলো যদি আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অনুচ্ছেদটির সঙ্গে মিলিয়ে পড়ি তাহলে সেটা দাঁড়ায় এ রকম—



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews