বাংলাদেশের ফুটবলে এখন হামজা চৌধুরী ক্রেজ। লাল-সবুজদের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের মাটিতেও ছিল হামজাকে নিয়ে উন্মাদনা। ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপের ম্যাচের পর শিলং স্টেডিয়ামে হামজাকে দেখতে ভিড় লেগেছিল স্টেডিয়ামের বাইরে। এখন জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, রাহবার আহমেদ, জুলকারনাইন, আহরাম ইসলামের পর প্রবাসী নারী ফুটবলারও আসতে চাচ্ছে বাংলাদেশ দলে খেলতে। বাফুফের উদ্যোগেই তাদের আনার চেষ্টা চলছে। বাফুফে চারজনের নাম পেয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশে এসে কথা বলতে রাজি হয়েছে। বাকি দু’জনের সাথে কথা চলছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে প্রবাসী ফুটবলারদের নামের তালিকা পাঠাচ্ছেন ডেনমার্ক প্রবাসী সাবিক মাহমুদ। তিনি এই প্রবাসী ফুটবলারদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য নেন। এরপর বিস্তারিত কথা বলে তাদের সাথে বাফুফের যোগাযোগের রাস্তা দেখান। এই সাকিব মাহমুদ জানালেন, ‘আমার সাথে বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য দুই প্রবাসী নারী ফুটবলারের সাথে কথা হয়েছে। এদের একজন হলেন সুইডেনের স্টকহোমে খেলা আনিকা সিদ্দিকী। তিনি খেলেন উইংয়ে। অপর জন ইংল্যান্ডের অ্যাস্টন ভিলায় খেলা শায়লা আহমেদ।’ স্বেচ্ছায় ফুটবল নিয়ে কাজ করা এই সাকিব অবশ্য এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য দিতে চাইলেন না।
প্রবাসী নারী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার ইচ্ছের প্রসঙ্গে বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, আমাদের কাছে চারজন প্রবাসী ফুটবলারের নাম আছে। সাকিব ভাই আমাদের তিনজন প্রবাসী নারী খেলোয়াড়ের নাম দিয়েছেন। আর আমরা একজনের সাথে যোগাযোগ করেছি। এদের দু’জন বাংলাদেশে এসে কথা বলতে রাজি হয়েছেন। বাকি দু’জন এখনো রাজি হননি। সাকিব কথা চালিয়ে যাচ্ছেন বাকি দু’জনের সাথে। আমরাও এই দুই জনের সাথে এখনো কথা বলিনি।
শুধু প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশে আনাই নয়, লাল-সবুজ নারী ফুটবলারদেরও ডেনমার্কে নিয়ে সেখানকার ক্লাবে খেলানোর চেষ্টা করছেন সাকিব। তার দেয়া তথ্য, ফাহাদ ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে এ বিষয়ে। আমার এক বন্ধু আছে। যিনি ডেনমার্কের একটি ক্লাবের নারী বিভাগের পরিচালক। তিনি নারী ফুটবলারদের সন্ধান করেন ক্লাবের জন্য।
সাকিব আরো জানান, আমার সাথে বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের নিয়ে একটি হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে এই ফুটবলারদের বলা হচ্ছে কিভাবে তারা ডেনমার্ক লিগে খেলার জন্য নিজেদের তৈরি করবে। যাতে আমার ওই বন্ধু তাদের দেখেই ডেনমার্ক লিগে খেলার জন্য যোগ্য মনে করেন। আমার এই বন্ধু বাংলাদেশে যাবেন। আশাকরি তখন ৪/৫ জন বাংলাদেশী সিনিয়র নারী ফুটবলারকে সাথে নিয়ে আসতে পারবেন ডেনমার্কে।
এদিকে পুরুষ জাতীয় দলের জন্য ৩২ ফুটবলারের তালিকা বাফুফেতে পাঠিয়েছিলেন সাকিব মাহমুদ। এদের মধ্যে হারুন সালাহ বাংলাদেশে আসবেন না ট্রায়াল দিতে। জানিয়েছেন সাকিব। আরেক জন কারেম হাসান স্মিথ সোমালিয়া, ব্রিটিশ জ্যামাইকা এবং বাংলাদেশী রক্তের। তবে শিগগিরই তিনি পেয়ে যাবেন বাংলাদেশী পাসপোর্ট। আর এলমান মতিনের মতো সামির খান ইতালিতে বড় হলেও পরে পরিবারের সাথে ইংল্যান্ডে চলে যান। উল্লেখ্য, এলমান মতিন বাংলাদেশে এসে ট্রায়ালও দিয়েছেন।